‘হেরিটেজ’ নবদ্বীপ-মায়াপুর! রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক জুড়ে বিজেপি-রাজ্যকে টেক্কা মমতার
আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন নদিয়ার নবদ্বীপ শহর হেরিটেজ টাউন হবে। মঙ্গলবার সরকারি সভামঞ্চ থেকে সেই ঘোষণায় একপ্রকার সিলমোহর দিয়েই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
হেরিটেজ হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগোল নবদ্বীপ। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন নদিয়ার নবদ্বীপ শহর হেরিটেজ টাউন হবে। মঙ্গলবার সরকারি সভামঞ্চ থেকে সেই ঘোষণায় একপ্রকার সিলমোহর দিয়েই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়াপুরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার করার কথাও বলেন তিনি। সেইসঙ্গে জানালেন কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুর নিয়েও তাঁর বিশেষ ভাবনার কথা।
[আরও পড়ুন: সব স্বপ্ন এক লহমায় শেষ রেললাইনে, শর্ট ফিল্ম-শ্যুটের মারণ নেশায় তছনছ ৩ জীবন ]
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নদিয়ায় এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। শুধু নদিয়া জেলাতেই ৮টি কর্মতীর্থ তৈরি হয়েছে। তার উপর মডেল থানা থেকে শুরু করে সাব স্টেশন, বাংলার আবাস যোজনা, সবার জন্য আলো প্রকল্পে প্রভূত কাজও হয়েছে। তবে আমাদের সরকার এখানেই থেমে থাকবে না।'
তিনি এদিন বলেন, 'নদিয়ার নবদ্বীপ শহরকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। শীঘ্রই আমরা নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহরের তকমা দিতে পারব। শুধু নবদ্বীপই নয়, উত্তরবঙ্গের কোচবিহারও হেরিটেজ তকমা পাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাই হবে প্রথম রাজ্য, যে রাজ্যের দুটি হেরিটেজ শহর থাকবে। এর আগে একমাত্র রাজস্থানে একটি হেরিটেজ শহর ছিল। বাংলার নবদ্বীপ ও কোচবিহার এই তকমা পেলে, রাজস্থানকেও টেক্কা দিতে পারবে।'
তিনি বলেন, 'নবদ্বীপ হল বৈষ্ণব আন্দোলনের পীঠস্থান। শাক্ত আন্দোলনের পথিকৃত এই শহর। তাই তাঁকে তো হেরিটেজের চোখে দেখতেই হবে।' এদিন নদিয়ার মায়াপুরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নদিয়ার ঐতিহাসিক শহর কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুরকে নিয়েও তাঁর ভাবনার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই দুই শহরকে পর্যটন মানচিত্রে একটি বিশেষ জায়গায় রাখতে চান। সেই কারণেই এই দুই শহরকে নিয়েও উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: বাংলার 'সবার সেরা' সরকারকে দেখে শিক্ষা নিক কেন্দ্র, মোদীর উদ্দেশ্যে আহ্বান মমতার]