আধিকারিক বদল নিয়ে 'পক্ষপাত'! কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার
সিপি, এসপিদের অপসারণে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দুষ্ট আচরণের অভিযোগ করেছেন তিনি।
সিপি, এসপিদের অপসারণে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দুষ্ট আচরণের অভিযোগ করেছেন তিনি। কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। কমিশনের সিদ্ধান্তকে মুখ্যমন্ত্রী শুধু খামখেয়ালিই নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতও অ্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চিঠির শুরু মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তাঁর যথেষ্টই শ্রদ্ধা রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ
কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁর অভিযোগ, আধিকারিকদের সরানোর সময় রাজ্যের কাছে প্যানেলের জন্য নাম চাওয়া হয়নি। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনাও করা হয়নি। ফলে এর থেকে বলা যেতে পারে, বিজেপির পক্ষ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সংবিধান অনুযায়ী কমিশনের এই নির্দেশ মানতে রাজ্য সরকার বাধ্য।
'নতুন আধিকারিকরা অঞ্চল সম্পর্কে জানেন না'
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নতুন যেসব আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা অঞ্চল সম্পর্কে অবগত নন। ফলে যদি সেখানে গণ্ডগোল হয়, তার দায় কমিশন নেবে তো, প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, অনুজ শর্মা কলকাতার এবং জ্ঞানবন্ত সিং খুবই দক্ষতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামাল দিচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন কায়েমি স্বার্থকে কি সন্তুষ্ট করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
বিজেপি নেতাদের দাবি তুলে ধরেছেন মমতা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কমিশনের চার আধিকারিককে বদলির সিদ্ধান্তের পরেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অপেক্ষা করুন, আরও বদলি হবে। কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজেপি নেতারা রাজ্যের সিনিয়র অফিসারদের বদলির সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন।
রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে শুক্রবার চার পুলিশ আধিকারিককে বদলি করে নির্বাচন কমিশন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে অনুজ শর্মাকে সরিয়ে রাজেশ কুমারকে বসানো হয়। অন্যদিকে বিধাননগরের কমিশনারের পদ থেকে জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে আর রমেশবাবুকে সেই পদে বসানো হয়। এছাড়াও বীরভূম ও ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই নির্দেশের কথা মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। নতুন কাদের বসানো হয়েছে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়।