আম্ফানে ক্ষতি বিস্তর! পরিস্থিতি জানতে টাস্কফোর্সের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
আম্ফান আঘাত হানার পরে কেটে গিয়েছে ১২ ঘন্টার বেশি। কিন্তু কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন, মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আম্ফান আঘাত হানার পরে কেটে গিয়েছে ১২ ঘন্টার বেশি। কিন্তু কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন, মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ইতিমধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলাগুলির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন জরুরি। পুরো পরিস্থিতি জানতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিকেলে টাস্কফোর্সের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
নেই বিদ্যুৎ, মোবাইল সংযোগ, ইন্টারনেট! আম্ফানের জেরে স্তব্ধ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা
রিপোর্ট জমা দেবেন মুখ্যসচিব
আম্ফান নিয়ে টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যসচিব। এদিন তিনি একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে নবান্ন সূত্রে খবর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে আরও ২-৩ দিন সময় লেগে যেতে পারে। তবে এদিনের বৈঠক থেকে প্রাথমিক ধারনা পাওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।
কার্যত বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জেরে জেলা ও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। জল জমে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকাংশেই বিচ্ছিন্ন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারা। ফোন করলেই ওপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে ফোন সুইচ অফ। ফলে জেলার প্রত্যঅন্ত অংশের অবস্থা জানাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পরিকল্পনা
তবে এদিনে বৈঠকে উঠে আসতে পারে কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যেতে পারে, তার জন্য পরিকল্পনা। একইসঙ্গে পরবর্তী দিনে কীভাবে কাজ হবে, তা নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে। পাশাপাশি যাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের আগামী কয়েকদিন কোথায় রাখা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে এদিনের বৈঠকে।
কেন্দ্রকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ
একদিকে রয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়, অন্যদিকে আম্ফানজনিত পরবর্তী পরিস্থিতি। মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন।