নিশানায় 'করিতকর্মা' নেতারা! তৃণমূল কংগ্রেসে নিচুতলার কর্মীরাই তাঁর চোখের মণি, জানালেন মমতা
দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়ে দল তথা তিনি যে চিন্তিত তা একবার স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়ে দল তথা তিনি যে চিন্তিত তা ফের একবার দলীয় কর্মিসভায় স্পষ্ট করে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুর্নীতিগ্রস্ত শব্দ না উচ্চারণ করলে, তিনি বলেন, যাঁরা দলে নিজেদের ছাড়া কাউকে ভালবাসে না, তাঁরা তাঁর নজরে রয়েছেন। দলের কর্মীদের আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের পাশে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
কাটমানি নিয়ে দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা
লোকসভা নির্বাচনে ১৮ আসনে হারের তৃণমূলের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছিল কাটমানি আর দুর্নীতি নিয়ে নানা অভিযোগ। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কাটমানি নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ের পর থেকে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে দলের বিভিন্নস্তরের নেতারা অস্বস্তিতে পড়েছে। গত জুনে মালদহে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলে এক পদাধিকারী সুকেশ যাদব। একশো দিনের কাজ, নির্মল বাংলা মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
৬ মাস পরেই পরিস্থিতি বদলায়নি
ছয়মাস পরেই পরিস্থিতিটা বদলায়নি। ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার বাড়ি নিয়ে। এবার বাড়ি নিয়ে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় তিনি। মোবাইল ফোনে মন্ত্রীকে বাড়ির ছবি দেখিয়ে সতর্ক করেছেন পিকে, বলছেন তৃণমূল নেতারাই। সেই কথা কানে গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোরও। শুধু নাম করা নেতারাই নন, মেঝো, সেজো নেতারা এখন চার চাকার বড় গাড়ি ছাড়া রাস্তায় চলাচল করতে পারেন না। সেই অভিযোগও গিয়েছে দলের শীর্ঘ নেতৃত্বের কাছে। সম্প্রতি রামপুরহাট পুরসভায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বীরভূম তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
'কর্মীরাই সম্পদ, নেতারা নন'
এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলে কর্মীরাই সম্পদ, নেতারা নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনিও সাধারণ মানুষ। যে কর্মী বুথে এজেন্ট হয়ে বসেন, তাঁকে তিনি সব থেকে বেশি ভালবাসেন বলে জানিয়েছেন।
কোন কর্মীরা পছন্দের, জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো
তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, যাঁরা মাটির ঘরে থাক, মাটির ঘর য়ায়, তাঁদের তিনি ভালবাসেন। যাঁরা আইসিডিএস-এ কাজ করেন, দলের নিচুতলায় প্রচার সামলান তাঁদের তিনি ভালবাসেন।
সতর্কিত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কার্যত সতর্ক করে দেন দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের। নাম, গোত্র না উল্লেখ করেই তিনি বলেন, যাঁরা নিজদের ছাড়া কাউকে ভালবাসে না, তাঁরা তাঁর নজরে রয়েছেন।
'জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হবে'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের ডাকে সাড়া দিতে হবে। খুব জরুরি না হলে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৮ টা সময় টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা তিনিও কখনও রাত ১ টা, কখনও রাত ৩ টেয় মোবাইল দেখেন, কোন বার্তা এসেছে সেখানে।