শিলিগুড়িতে নির্বাচনী প্রচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
শিলিগুড়ি, ১৪ মার্চ : মালদহ ও মুর্শিদাবাদের পরে এবার উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শিলিগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়ার হয়ে ভোটের প্রচার সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। [মার্চের শেষেই রাজ্যে প্রচারে নামছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী]
শিলিগুড়িতে বাম-কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন একদা বাম আমলের পুরমন্ত্রী তথা বর্তমানে শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর বিরুদ্ধেই প্রার্থী করা হয়েছে ফুটবলার ভাইচুংকে। সেখানেই এদিন সভা করে বাম-কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী।
কোনও কোনও মহল থেকে ভাইচুংকে প্রার্থী করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তবে দলনেত্রীর কথার উপরে আর কেউ কিছু বলতে সাহস পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ফুটবলার হিসাবে ভাইচুং বিরাট মাপের। দেশের ফুটবলকে তিনি বলতে গেলে এখনও নেতৃত্ব দেন। সেজন্য তাঁর প্রার্থী পদের সিদ্ধান্ত সঠিক।
এর আগে যেকটি নির্বাচনী জনসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, তাতে সরাসরি বাম-কংগ্রেস সমঝোতাকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। মূলত বাম-কংগ্রেস বিরোধিতা করেই যে এবারের ভোটের প্রচার তিনি সারতে চান তার সুর তিনি বেঁধে দিয়েছেন প্রচারের শুরুতেই।
তবে শিলিগুড়িতে ভোটের সমীকরণ এবার অন্যরকম হতে পারে। আগের ভোটে পাহাড়ে মোর্চা তৃণমূলের সঙ্গে ছিল। এবার বিমল গুরুংরা তৃণমূলের হাত ছেড়েছেন। বাম-কংগ্রেস জোটের দিকেই ঝুঁকে রয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে পাহাড়ে এই মোর্চাকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন বামেরা। ফলে তার প্রভাব শিলিগুড়ি বিধানসভায় কিছুটা পড়তেই পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ফলে বাম-কংগ্রেস জোট সামলানোর পাশাপাশি পাহাড়ে মোর্চার বিরুদ্ধেও একপ্রস্থ লড়তে হবে তৃণমূলকে। ভোটের ফল কি হবে সেটা জানতে গণনার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।