স্বপ্ন কখনও বিক্রি হয় না! মুকুলকে নিশানা করতে মোদীর সুরে সুর মেলালেন মমতা
বিশ্ববাংলা আমার কাছে একটা মস্ত বড় স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে কখনও মূল্যান্তর করা যায় না। বিশ্ববাংলা লোগো ও ব্র্যান্ড আমার নিজের হাতের তৈরি।
'বিশ্ববাংলা একটি স্বপ্নের নাম, স্বপ্ন কখনও বিক্রি হয় না।' প্রথমবার মুখ খুলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ব-বাংলাকে নিজের 'স্বপ্ন' বলে ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'বিশ্ববাংলা আমার কাছে একটা মস্ত বড় স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে কখনও মূল্যান্তর করা যায় না। বিশ্ববাংলা লোগো ও ব্র্যান্ড আমার নিজের হাতের তৈরি। তা আমি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারকে দিয়েছি। তার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সরকারের নামেই। সরকার যতদিন চাইবে, ততদিন তা ব্যবহার করতে পারবে। সরকার এই ব্র্যান্ড আর লোগো আর ব্যবহার করতে না চাইলে তা আমার কাছেই ফিরে আসবে।'
[আরও পড়ুন:কোন পথে অধীর, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন সাংসদ]
প্রথমবার
মুখ
খুলে
বিশ্ব-বাংলা
নিয়ে
আবেগতাড়িত
হয়েই
কথাগুলি
বললেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুদিন
আগে
গুজরাটে
নির্বাচনী
প্রচারে
গিয়ে
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী
বলেছিলেন,
'চা
বিক্রি
করেছি,
কিন্তু
দেশ
বিক্রি
করিনি।'
আজ
সেই
সুরেই
মমতা
বললেন,
'বিশ্ববাংলা
তাঁর
স্বপ্ন।
সেই
স্বপ্নকে
কখনও
বিক্রি
করা
যায়
না।
স্বপ্নের
কোনও
মূল্য
হয়
না।'
বুধবার
বিধানসভায়
নাম
না
করে
মুকুলের
সমালোচনা
করেন
মমতা।
বিশ্ব-বাংলা
নিয়ে
কুৎসাকারীদের
আক্রমণ
করে
তিনি
বলেন,
'বিশ্ব-বাংলা
হল
সম্মান,
গর্ব।
বাংলাকে
বিশ্বের
দরবারে
তোলার
একটা
প্রয়াস।
তা
নিয়ে
কিছু
লোক
কুৎসা
রটাচ্ছে।
কুৎসিত
সমালোচনা
করা
হচ্ছে।
তাঁরা
আসলে
বাংলার
সম্মান
নিয়েই
ছিনিমিনি
খেলছে।'
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিশ্ব বাংলা আজ বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও আমন্ত্রণ এসেছে বিশ্ব-বাংলার সমাদর করে। বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে বিশ্ববাংলার স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করা হয়েছে। এপার বাংলার পাশাপাশি ওপার বাংলার মানুষকেও ছুঁয়ে গিয়েছে এই আবেগ, তবু বিশ্ববাংলা নিয়ে কুৎসা-অপপ্রচার চালাচ্ছে একদল।'
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মঞ্চ থেকে মুকুল রায় বিশ্ববাংলা ফাইল খোলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব-বাংলা কোনও ব্র্যান্ড নয়, বিশ্ব-বাংলা একটি বেসরকারি কোম্পানি। আর এই কোম্পানির মালিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই অভিষেক ও মুকুল রায়ের মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়। আইনি যুদ্ধও চলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।
এই বিতর্কের মাধে রাজ্যের দুই সচিব থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা মুখ খুললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন নীরব ছিলেন। অবশেষে তিনিও নীরবতা ভঙ্গ করলেন। এবং নাম না করেই মুকুল রায়ের সমালোচনায় মুখর হলেন।
[আরও পড়ুন:এবার একলা চলো! সবং-ভোটে চওড়া বিভেদ, বাম-কং মধুচন্দ্রিমায় ইতি বিধানসভায় ]