রোগ ধর্ম দেখে আসে না, রাজ্যে তবলিঘ ই জামাত নিয়ে একের পর এক তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
রোগ ধর্ম দেখে আসে না, রাজ্যে তবলিঘ ই জামাত নিয়ে একের পর এক তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
দিল্লি ফেরত কতজন তবলিঘ-ই-জামাত সদস্যকে পশ্চিমবঙ্গে চিহ্নিত করা হয়েছে। নবান্নে হওয়া সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টিকে সেদিন সাম্প্রদায়িক বলে এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বুধবার নিজেই সেই প্রশ্নের উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন রোগ ধর্ম দেখে আসে না।
লকডাউনের আগে নিজামুদ্দিনে সমাবেশ
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন লকডাউনের আগে দিল্লির নিজামুদ্দিনে সমাবেশ হয়েছিল। প্রসঙ্গত ১২ থেকে ১৫ মার্চ নিজামুদ্দিনে তবলিঘ-ই-জামাতের সমাবেশ হয়েছিল। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সদস্যরা যোগ দিয়েছিলেন।
কোয়ারেন্টাইনে তবলিঘ-ই-জামাতের ২০০ সদস্য
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ১০-১২ দিন আগে তবলিঘ-ই-জামাতের সদস্যদের নিয়ে রাজ্যকে জানানো হয়। তারপর তাঁদের খোঁজ শুরু করা হয়। এখন রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও হজ হাউসে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের প্রায় ১০৮ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যের ৬৯ জন সদস্যও রয়েছেন। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ১৭৭ জন।
রাজারহাটের কোয়েরেন্টাইন সেন্টারে আছেন প্রায় ২০০ জন
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছিলেন সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না
নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লিতে কতজন তবলিঘ-ই জামাত সদস্য যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে? এই প্রশ্নে ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর এই ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না।
বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী তবলিঘ-ই-জামাত বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করতে চাইছেন।
করোনা সচেতনতায় শর্টফিল্মের ভাবনা মমতার! কলাকুশলী কারা, তালিকায় চমক