মারণ করোনাকে রুখতে বাংলাই মডেল! দৃঢ়প্রত্যয়ী মমতা বললেন রাজনীতি করবেন না
মারণ করোনাকে রুখতে বাংলাই মডেল! দৃঢ়প্রত্যয়ী মমতা বললেন রাজনীতি করবে না
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩৮। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন আক্রান্তরা। ১২ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিশ প্রশাসন খুব ভালো কাজ করছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী, আমরা রুখতে পারব মারণ করোনাভাইরাসকে। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ৫৯টি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা চলছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিন্তা করার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে বাড়িতে থাকতে হবে। তিনি বলেন, এমআর বাঙুরে শুধু করোনা চিকিৎসা হবে। কোথায় করোনা চিকিৎসা হবে, সেটা প্রশাসন ঠিক করবে। এটা জরুরি অবস্থা, তাই নয়া আইনে যে কোনও হাসপাতাল, স্কুল বা কলেজ অধিগ্রহণ করতে পারে প্রশাসন।
বাংলা যা করে দেখিয়েছে, তা মডেল
মমতা বলেন, আমরা সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, কে কোথায় খাদ্য পাচ্ছে না, কার কী সমস্যা আমরা সব দেখছি, সব ব্যবস্থা করছি। করোনা নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করছেন, কিন্তু রাজনীতিকে আমল দেবেন না। বাংলা যা করে দেখিয়েছে, তা মডেল। কিছু জায়গায় রেশনের সমস্যা আছে। তা ঠিক হয়ে যাবে। খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
এটাও একটা বড় লড়াই, বললেন মমতা
মমতা বলেন, অনেক বড় লড়াই হয়েছে, এটাও একটা বড় লড়াই। এই লড়াই আমাদের জিততে হবে। আমরা কিন্তু এই লকডাউনে এক তারিখে বেতনটা দিতে পেরেছি। পেনশনটা দিতে পেরেছি। কোনও আর্নিং নেই, এই কদিনে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, কার হিসেব নেই। তবু আমরা করোনায় বিরুদ্ধে লড়ছি। পর্যাপ্ত মাস্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রকে বার্তা, রাজনীতি করবেন না
এ পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বলেন, কেউ কেউ বলছেন, সব কেন্দ্র দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র একটা মাস্কও দেয়নি। আমরা মাস্কের ব্যবস্থা করেছি। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছি। চিকিৎসা পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে করার জন্য পৃথক পৃথক বন্দোবস্ত হয়েছে। হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে, সেই হাসপাতালের রোগীদের অন্য হাসপাতালে সরানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
সবাই ভালো আছেন, করোনা হারবেই
মমতা বলেন, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি সবাই ভালো আছেন। এখনও ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন। বাড়ি সবথেকে নিশ্চিন্তে থাকার জায়গা। সবথেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা। এই সময়ে বাড়িই সবথেকে নিরাপদ। তাই আবার আবেদন করছি সবাইকে, বাড়িতে থাকুন, পরস্পরের থেকে দূরে থাকুন। তাহলেই করোনাকে হারানো সম্ভব।
এক মাসে ১৪ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক! ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে লাটে উঠবে জরুরি পরিষেবা