চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি দরাজ মুখ্যমন্ত্রী! ৭ দিন টানা কাজে ৭ দিন ছুটির নির্দেশ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন, চিকিৎসক, নার্স-সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের ওপর প্রবল চাপ। পাশাপাশি সর্বক্ষণ সংক্রমণের ভয়ে মানসিক চাপও রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন, চিকিৎসক, নার্স-সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের ওপর প্রবল চাপ। পাশাপাশি সর্বক্ষণ সংক্রমণের ভয়ে মানসিক চাপও রয়েছে। রাজ্য সরকারের এইসব কর্মীদের জন্য নতুন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা সাতদিন কাজের পর সাতদিন ছুটি পাবেন।
স্বাস্থ্যকর্মীদের সাতদিন কাজ সাতদিন ছুটি
করোনা মোকাবিলায় সব থেকে বেশি চাপ চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর। এই মুহুর্তে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আটঘন্টার কাজের শিডিউল বজায় থাকছে না। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার থেকে চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের টানা সাতদিন কাজের পর সাতদিন ছুটি দেওয়া হবে। পাশাপাশি এইসব কর্মীদের হেনস্থা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পুলিশের ক্ষেত্রে ডিউটি আওয়ার্স নিয়ে ভাবনার নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশকেও চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাদের ক্ষেত্রে ডিউটি আওয়ার্স ছয় ঘন্টা করা যায় কিনা, তা দেখার জন্য ডিজি ও সিপিকে নির্দেস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নে
জানান,
খাড়েতে
আটকে
পড়া
বেশ
কয়েকজন
শ্রমিকের
সঙ্গে
তাঁর
কথা
হয়েছে।
সেই
সব
শ্রমিকরা
রেশন
পাওয়ার
কথা
জানিয়েছে।
কিন্তু
তাঁদের
কাছে
টাকার
অভাব
দেখা
দিয়েছে।।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
এখান
থেকে
টাকা
পাঠানো
কঠিন।
ওখানকার
কোনও
সংযোগের
মাধ্যমে
চেষ্টা
করা
হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
প্রয়োজনে
তিনি
আরও
অন্য
শ্রমিকদের
সঙ্গে
কথা
বলবেন।
শুধু
শ্রমিকরাই
নন,
চিকিৎসা
করাতে
যাওয়া,
কিংবা
বেড়াতে
যাওয়া
অনেকেই
আটকা
পড়েছেন
বলে
জানিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেছেন,
আটকে
পড়া
শ্রমিকদের
জন্য
পকেটমানি
পাঠানো
হবে।
তিনি
বলেন
আমাদের
সরকার
গরিবের
সরকার।
যতটুকু
সম্ভব
হবে,
সাহায্য
করা
হবে।
রাজ্যে আক্রান্ত ১৩২, নতুন পজেটিভ কেস ১৭
নবান্নে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় পজেটিভ কেস ধরা পড়েছে ১৭ টি। বর্তমানে এই সংখ্যা নিয়ে আক্রান্ত ১৩২ জন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা একই অর্থাৎ ৭ ই রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। সব মিলিয়ে ৪২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।