দিঘা হবে পুরী! বাংলার সৈকতনগরীতে ‘জগন্নাথধাম’ গড়ে তোলার নয়া উদ্যোগ মমতার
দিঘাকে গোয়া করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে দিঘাকে আমূল বদলেও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই দিঘার বুকেই জগন্নাথতীর্থ গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু।
দিঘাকে গোয়া করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে দিঘাকে আমূল বদলেও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই দিঘার বুকেই জগন্নাথতীর্থ গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু করলেন তিনি। এবার পুরীর আদলে বাংলায় সৈকতনগরী দিঘাকেও তীর্থক্ষেত্র করে তোলার পরিকল্পনা নিলেন মমতা। ইতিমধ্যেই শুরু হল উদ্যোগ।
এবার দিঘাও হবে জগন্নাথতীর্থ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় ঘোষণা করলেন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে তোলার কথা। ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার মাঝামাঝি সমুদ্রের ধারে একটি জগন্নাথ মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরকে ঘিরেই তিনি পুরীর আদলে জগন্নাথ তীর্থ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন। খুব শীঘ্রই জগন্নাথ ঘাট হয়ে উঠবে জগন্নাথ তীর্থ।
জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরেই নয়া উদ্যোগ
দিঘার এই জগন্নাথ ঘাটে জগন্নাথের মূর্তি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কালীমূর্তি, লোকনাথের মূর্তি, আবার গঙ্গাপুজোও হয় এই ঘাটে। এবার এই মন্দিরকে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই উদ্যোগ গ্রহণও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
পুরীর আদলে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পুরীর আদলে তৈরি হবে দিঘার মন্দির। পুরীর মতো বড় না হলেও, নতুন যে মন্দির গড়ে তোলা হবে, তাতে পুরীর শোভাবর্ধন হরবে বাংলার দিঘায়। এমনভাবেই তা গড়ে তোলা হবে যে ভবিষ্যতে দিঘাও হয়ে উঠবে জগন্নাথদেবের তীর্থক্ষেত্র।
দিঘা-তীর্থের রূপায়ণে শুভেন্দুকে নির্দেশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসককে মন্দিরের প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।পুরীর জগন্নাথ দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে যেমন সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের টানে, তেমনই দিঘার সমুদ্র সৈকতেও পর্যটকদের জগন্নাথ দর্শনের সুযোগ করে দিতে চাইছেন তিনি।
তীর্থ-পর্যটনে আকর্ষণ বাড়বে দিঘায়
দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির হলে, পর্যটনক্ষেত্রে দিঘার আকর্ষণ আরও বেড়ে যাবে বলে বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনিতে দিঘাকে সর্বাধুনিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই সাত বছরে আমূল বদলে গিয়েছে দিঘা। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নতুন সংযোজনাকে অসাধারণ উদ্যোগ বলে বর্ণনা করছে রাজৈনিক মহল।