করোনা আতঙ্কে স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ মমতার, দিলেন বিশেষ নির্দেশিকা
করোনা আতঙ্কে স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল রাখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ মমতার, দিলেন বিশেষ নির্দেশিকা
করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সচল রাখতে নির্দেশিকা রাজ্যের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালের কাছেই থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে হোটেল কিংবা অতিথিশালা দেখতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির মোকাবিলা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রেরও উন্নতি করার চেষ্টা করছে। বিকেল ৫ টা থেকে রাজ্য প্রায় সমগ্র অংশ জুড়ে লকডাউন শুরুর কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজ্য থেকে অন্যরাজ্যে চলাচলকারী বাস পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি রেল ও মেট্রো পরিষেবাও যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তবে এখনও দমদম নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিমান চালু রয়েছে। ফলে সেখানে কোয়ারেন্টাইনে অসুবিধা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন এই বিমান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
রাজ্যে লকডাউন সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে
রবিবারই রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে রাজ্যে লকডাউন। এই লকডাউন চলবে রাজ্যের ২৩ টি জেলাতেই। তবে একেবারে গ্রামীণ এলাকাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেলা সদর এবং পুরসভা এলাকাগুলিকে এই লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। আর মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিকে পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। আপাতত এই লকডাউন টলবে ২৭ মার্চ রাত ১২ টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি অনুযায়ী এই লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
আইন বলবত নিয়ে হুঁশিয়ারি
কেন্দ্র খুব কড়া ভাবে লকডাউন চালু করতে চায়। তাই ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে লকডাউন অমান্য করলে ছয়মাসের জেলের সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের তরফে প্রচার শুরু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সটল রাখতে নির্দেশিকা
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সচল রাখতে নির্দেশিকা রাজ্যের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালের কাছেই থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে হোটেল কিংবা অতিথিশালা দেখতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে।