আরাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ মমতার, গুলিবিদ্ধ নির্দল সমর্থকের মৃত্যুতে রাজধর্ম পালন
হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর দিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি রাজধর্ম পালন করে আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। নির্দল সমর্থকদের মিছিলে মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হল হাফিজুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের। এই ঘটনায় অভিযোগের তির উঠেছে আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর দিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি রাজধর্ম পালন করে ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে নিজের দলের নেতা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিনের এই ঘটনায় কমিশনের তরফে জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিন ভাঙড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বলেন, আজ ভাঙড়ে নতুন করে অশান্তি হয়েছে। আমি পুলিশকে বলেছি আরাবুলকে গ্রেফতার করতে। ওখানে কিছু মাওবাদী কব্জা করে বসে আছে। ভাঙড়ে অশান্তির জন্য দুই তরফই দায়ী। অবিলম্বে ভাঙড়ে শান্তি স্থাপন করতে হবে। সেজন্য তাঁর দলের নেতা বলে তিনি রেয়াত করবেন না। তিনি আরাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে পার্টি কর্মীদের বার্তা দিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দশের পরই আরাবুলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায় পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে নির্দল কর্মী সমর্থকরা তাঁদের প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে। সেই মিছিলে গুলি ও বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে আরাবুল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাফিজুল মোল্লা নামে এক নির্দল সমর্থকের মাথায় গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাফিজুলের।
অভিযোগ, নির্দল প্রার্থীদের মিছিলে উপরে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এরা সকলেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের লোকজন বলে অভিযোগ। নির্দল কর্মী-সমর্থকদের এই মিছিল লক্ষ করে গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বোমাবাজিও করা হয়। ভাঙড় আন্দোলন সংহতি কমিটির ডাকে শনিবার ১১ মে হাফিজুল মোল্লাকে খুনের প্রতিবাদে এক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
ওইদিন বেলা তিনটেয় মৌলালীর মোড়ে জমায়েতের পর মিছিল যাবে ধর্মতলা পর্যন্ত। উল্লেখ্য এবারের নির্বাচনে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের হোতা জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত এবং পরিবেশরক্ষা কমিটির তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়। নির্দল হিসাবে দাঁড়ানো ভাঙড় আন্দোলনের প্রার্থীদের বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।