দুর্যোগ মোকাবিলায় আধিকারিক মনে করালেন পাকা বাঁধের কথা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিলেন ৩ দিনের সময়সীমা
ভবিষ্যতের দুর্যোগ (disaster) মোকাবিলায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এরপরেই তিনি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি প্রতিবছর বাঁধ মেরামতিতে কোটি কোটি টাকা জলে
ভবিষ্যতের দুর্যোগ (disaster) মোকাবিলায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এরপরেই তিনি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি প্রতিবছর বাঁধ মেরামতিতে কোটি কোটি টাকা জলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দিঘার জন্য আলাদা পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্যোগ মোকাবিলায় বৈঠক
নবান্নে দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এব্যাপারে তিনি ১১ ও ২৬ জুনের ভরা কোটালের কথা উল্লেখ করেন। তিনি সতর্ক করে দেন, ১১ জুন সেরকম কিছু না হলেও, ২৬ জুন ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
গাছ দিয়ে বন্যা আটকানোর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, যেসব গাছ ঝড়ে পড়ে গিয়েছে, সেগুলো নদীর পাড়ে দিয়ে বন্যা আটকানোর ব্যবস্থা করা যায়। আম্ফানের ঝড়ে যেসব গাছ পড়ে গিয়েছিল, সেগুলি দিয়েই ভাঙন অনেকটাই রোধ করা যেত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনদিনের সময়সীমা
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন করেন, আম্ফানের ঝড়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর গাছ পড়ে গিয়েছিল, সেইসব গাছ কোথায় গেল। সেগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, নাকি আছে। তিনি বলেন, দায়বদ্ধহীনতায় ভুগছি। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে পড়ে যাওয়া গাছ সরিয়েছিল দমকল, কলকাতা পুরসভা এবং বনদফতর। তিনি এইসব দফতরের কাছেই তিনদিনের মধ্যে পড়ে যাওয়া গাছের হিসেব চেয়েছেন।
আধিকারিক মনে করালেন পাঁকা বাঁধের কথা
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রতিবছর বাঁধ তৈরিতে কোটি কোটি টাকা জলে যাওয়ার অভিযোগ করেন। এক আধিকারিক সেই সময় বলেন, আয়লা পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের বেশ কিছু অংশে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। সেই বাঁধ যেসব জায়গায় তৈরি হয়েছে, সেইসব জায়গায় আম্ফান কিংবা ইয়াস আঘাত হানতে পারেনি। প্রসঙ্গত রাজ্যের বিরোধীদের তরফে বারবার সুন্দরবনে বাঁধ তৈরিতে ৪ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্য ফেরত যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
দিঘার জন্য আলাদা পরিকল্পনা
দিঘাকে ফের সাজিয়ে তুলতে আলাদা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার সেখানকার মুখ্যবাস্তুকারকে দিঘা নিয়ে প্রশ্নও করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি দেখেছেন, ওপরে যে পাথর দেওয়া হয়েছিল তা ঢেউয়ের ঝাপটায় উঠে গিয়েছে। তবে যার ওপরে সেই পাথর বসানো হয়েছিল, সেখানে কোনও রকমের খোদাও না করেই বসানো হয়েছিল। এবিষয়টি সেখানকার মুখ্য বাস্তুকার মেনে নেন। পুনর্ঠনের কাজ চলার সময় বিষয়গুলিতে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য বাস্তুকার। এছাড়া পূর্ত দফতরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্রও বিষয়টি নিয়ে দেখা শোনা করবেন।
এখনও সাগরেই অবস্থান করছে মৌসুমী বায়ু, বর্তমান গতিপথ ঠিক কোথায়