বিজেপির প্রভাব কমাতে পরিকল্পনা মমতার, উপনির্বাচনে লড়াইয়ের কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
বিজেপির প্রভাব কমাতে পরিকল্পনা মমতার, উপনির্বাচনে লড়াইয়ের কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
২০১৬-র ৩ থেকে ২০২১-এ বিজেপি হয়েছে ৭৭। কিন্তু এই মুহুর্তে বিজেপির (bjp) বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। কেননা এদিন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক তাঁদের সাংসদ পদ রেখে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বিজেপিকে ৭৫-এ বেধে ফেলতে চান। যার জন্য পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
মমতার সৌজন্যে ফিরবে ৫০ বছর আগের প্রথা! ২০১১-এর পর ফের তোড়জোড় একুশে
দিনহাটার বিধায়ক পদে ইস্তফা বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের
এদিন দিনহাটার বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তিনি অন্যদিকে কোচবিহারের সাংসদও বটে। চার বর্তমান সাংসদ এবং একজন প্রাক্তন সাংসদকে বিজেপি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল। তাঁদের মধ্যে যে দুজন সাংসদ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই নিশীথ প্রামাণিকও। তিনি মাত্র ৫৯ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের উদয়ন গুহকে হারান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন দিনহাটা থেকে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন দিনহাটা থেকে। এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করে প্রায় ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তারপর রাজ্যের ইতিহাতে প্রথমবার নির্বাচনে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছয়মাসের মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে, এদিন নিশীথ প্রামাণিক ইস্তফা দেওয়ায় দিনহাটা কেন্দ্রেও ছয়মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে।
বিজেপির প্রভাব কমাতে বেছে নিতে পারেন দিনহাটা
তৃণমূল
দক্ষিণবঙ্গে
বিজেপিকে
পর্যুদস্ত
করতে
পেরেছে।
২০১৯-এ
হারানো
জঙ্গলমহলের
অনেকটাই
পুনরুদ্ধার
করতে
পেরেছে
তারা।
তুলনায়
উত্তরবঙ্গে
কিছুটা
ভাল
ফল
করলেও,
তা
দক্ষিণবঙ্গের
মতো
হয়নি।
তবে
ইতিমধ্যেই
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরবঙ্গ
উন্নয়ন
দফতর
নিজের
হাতে
রেখেছেন।
অন্যদিকে
সাধারণভাবে
দেখা
গিয়েছেন,
কোনও
উপনির্বাচন
হলে,
সেই
রাজ্যের
শাসকদল
জয়ী
হয়।
সেক্ষেত্রে
দিনহাটার
উপনির্বাচনে
তৃণমূলের
জয়ের
বড়
সম্ভাবনা
রয়েছে।
কেননা
২০২১-এর
নির্বাচনে
ব্যবধান
ছিল
মাত্র
৫৯
ভোটের।
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনে
এই
ব্যবধান
ছিল
১৫৫৩৯।
এই
পরিস্থিতিতে
এই
আসনে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
জয়ী
হতে
পারলে
উত্তরবঙ্গে
বিজেপিকে
ধাক্কা
দেওয়া
যাবে
বলেও
মনে
করছেন
রাজনৈতিক
পর্যবেক্ষকদের
একাংশ।
ভোটের লড়াইয়ে দিনহাটা
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে হওয়া বেশ কয়েকটি নির্বাচনে দিনহাটা থেকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন। মধ্যে ১৯৬২ সাল বাদ দিলে এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে একটানা ২০০৬ সাল পর্যন্ত সেখানকার ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন কমল গুহ। ২০০৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। এরপর রাজ্যে পরিবর্তনের বছরে ২০১১-তেও সেই কেন্দ্র থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন উদয়ন গুহ। যদিও তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং ২০১৬-তে সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন।