সেরার সেরা মমতার হ্যাটট্রিক, বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে মাথায় শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রিত্বের শিরোপা
আবারও তিনিই সেরা। এই নিয়ে পর পর তিনবার সেরা মুখ্যমন্ত্রীর শিরোপা উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায়। তাবড় তাবড় বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হারিয়ে সেরার সেরা মমতা।
আবারও তিনিই সেরা। এই নিয়ে পর পর তিনবার সেরা মুখ্যমন্ত্রীর শিরোপা উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায়। তাবড় তাবড় বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হারিয়ে সেরার সেরা মমতা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে সেরা মুখ্যমন্ত্রীর শিরোপা প্রাপ্তিতে হ্যাটট্রিক করে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও সর্বভারতীয় একটি চ্যানেলের সমীক্ষায় দেশ-সেরার তকমা ছিনিয়ে নিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা 'ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবছরই বার্ষিক সমীক্ষা করে। দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে নেয়। আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই শিরোপা জিতে নিয়ে হ্যাটট্রিক করলেন। পিছনে ফেলে দিলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের। পিছনে ফেললেন কংগ্রেস ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলের মুখ্যমন্ত্রীদেরও।
নয় নয় করে ১৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তাদের মধ্যে প্রথম তিনে নেই কোনও বিজেপিশাসিত রাজ্য। তবে বর্তমান সমীকরণের নিরিখে নীতীশ কুমার বিজেপির মিত্রশক্তি। তিনি দু-নম্বরে রয়েছেন। যদিও নীতীশকুমার বিহারে ক্ষমতায় এসেছিলেন আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে। পরে সেই জোট ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেন তিনি। তিন নম্বরে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
শুধু ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষাতেই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাকে সেরার তকমা দেওয়া হয়েছিল। মমতার সরকারের গুণগাথা লেখা হয়েছিল রিপোর্টের প্রতি পাতায় পাতায়। সমীক্ষা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের কথা।
ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে- আর্থ সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যগুলির সাফল্য ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়েছে। সেখানে মমতার সাফল্যের কথা প্রতিটি ছত্রে উল্লেখিত। কর আদায় থেকে পরিকাঠামো নিরূপণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন- সব কিছুতেই এগিয়ে মমতার বাংলা।
কেন্দ্রের রিপোর্টেই গ্রামীণ প্রশাসন পরিচালনা থেকে শুরু করে স্বরোজগারের প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে বাংলার সরকারের বিশেষ উন্নতির কথা বলা হয়ছিল। তারপর ভূমি রাজস্ব ও জমি সংক্রান্ত খাজনা আদায়ে দেশের সেরা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। আর্থিক কমিশনের সুপারিশ গ্রহণেও পশ্চিমবঙ্গ উপরের দিকে রয়েছে। পানীয় জল প্রাপ্তীরে ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ অগ্রগণ্য। পশ্চিমবঙ্গে ৯১ শতাংশ গ্রামীণ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পেয়ে থাকেন। সাক্ষরতা থেকে শিশুমৃত্যুর হারেও রাজ্য যথেষ্ট উন্নতি করেছে।
[আরও পড়ুন:ঝাঁকুনিতে খুলে আসে হাড়-গোড় - মেয়রের গর্ব, দেশের সেরা রাস্তা এই শহরের]
এই সবদিক বিচার করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টানা তিনবার সেরা হিসেবে বেছে নিল সর্বভারতীয় ওই নিউজ চ্যানেল। এক-আধবার নয়, টানা তিনবার। এই সাফল্য যে ফ্লুকে আসেনি তা মানতেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আবার প্রমাম করলেন তিনি বাংলায় অপরিহার্য। বিরোধীরা যতই বলুক, তাঁর স্থান বাংলায় অমর অক্ষরে লেখা হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: 'বিপাকে' বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়! গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি]
এবার 'ইন্ডিয়া টুডে'র সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ১ থেকে ১৫ নম্বর স্থানে থাকা মুখ্যমন্ত্রীরা হলেন- ১) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাংলা), ২) নীতীশ কুমার (বিহার), ৩) অরবিন্দ কেজরিওয়াল (দিল্লি), ৪) যোগী আদিত্যনাথ (উত্তরপ্রদেশ), ৫) চন্দ্রবাবু নাইডু (অন্ধ্রপ্রদেশ), ৬) রমন সিং (ছত্তিশগড়), ৭) শিবরাজ সিং চৌহান (মধ্যপ্রদেশ), ৮) নবীন পট্টনায়ক (ওড়িশা), ৯) কে চন্দ্রশেখর রাও (তেলেঙ্গানা) , ১০) এইচ ডি কুমারস্বামী (কর্ণাটক), ১১) সর্বানন্দ সোনোয়াল (অসম), ১২) মনোহর পার্রিকর (গোয়া) ১৩) বিজয় রূপানি (গুজরাট), ১৪) মনোহরলাল খট্টর (হরিয়ানা), ১৫) দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (মহারাষ্ট্র)।