জঙ্গলমহলে বিজেপির বিস্তারে বাধা দিতে নানা পরিকল্পনা, বাঁকুড়া সফরে মমতা
জঙ্গলমহলে বিজেপির বিস্তারে বাধা দিতে নানা পরিকল্পনা, বাঁকুড়া সফরে মমতা
মঙ্গলবার থেকে দুদিনের বাঁকুড়া সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মীসভায় ভাষণ দেওয়া ছাড়াও, তিনি সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি যাবেন দুর্গাপুরে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর বাঁকুড়ার কর্মীসভা হতে চলেছে সব থেকে বড় কর্মীসভা।
বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু মমতার
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তুতি শুরুর সময়ে তিনি এমন একটি জেলাকে বেছে নিয়েছেন, যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসনই পেয়েছিল বিজেপি। বাঁকুড়ায় থাকা ১২ টি বিধানসভা আসনেও এগিয়ে ছিল বিজেপি। এমন একটি পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ। বাঁকুড়ায় তফশিলি জাতি ও উপজাতি ভোট রয়েছে প্রায় ৩৫.৮ শতাংশের মতো। যা জঙ্গলমহলেরই একটি অংশ।
বাঁকুড়া থেকেই সারা দক্ষিণবঙ্গে
বাঁকুড়ার তিন চতুর্থাংশ রয়েছে জঙ্গলমহলের মধ্যে। এই জঙ্গলমহলের অপর তিন গুরুত্বপূর্ণ জেলা হল পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। এই চার জেলায় বিধানসভার আসন রয়েছে ৩২ টি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বাঁকুড়াকে বেছে নিয়েছেন সভা করার জন্য। এরপর তা জঙ্গলমহলের বাকি জেলাগুলিতে পরবর্তী সময়ে সারা দক্ষিণবঙ্গে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে।
২০১৪-র পর ২০১৮-তে বাঁকুড়ায় বিজেপির ভাল ফল
২০১৪ সালে বাঁকুড়ার দুটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হারলেও , সেই ভোটে জঙ্গলমহলে বিজেপির ভোট পৌঁছে গিয়েছিল ২০ শতাংশে। এরপর ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও, জঙ্গলমহলে ২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ঝুড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা খায় তৃণমূল।
জায়গা পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় তৃণমূল
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেলেও, পরবর্তী কয়েকমাসে জঙ্গলমহলে জায়গা পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনও গড়ে তুলেছে তারা। পাশাপাশি তফশিলিদের ওপর প্রভাব বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তফশিলিদের নিয়ে নতুন কমিশন করার কথা জানিয়েছেন।
'বাংলার প্রহরী আমার কর্মী, এস করি রক্ষা আমার জন্মভূমি'
তৃণমূলের মুখপত্র কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী জানিয়ছেন, বাংলার প্রহরী আমার কর্মী, এস করি রক্ষা আমার জন্মভূমি-এই ব্যানারে জঙ্গলমহলে এগনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূল মনে করে, এই স্লোগান বুথ কর্মীদের আরও সক্রিয় করবে, শুধু বাঁকুড়ার ১২ কেন্দ্রেই নয়, পুরো জঙ্গলমহলের ৩২ টি কেন্দ্রেই। বিজেপির বাংলা দখলের স্বপ্নকে তিনি দিবা স্বপ্ন বলেও অভিবিত করেছেন।
'আপনার কথা, আমি শ্রোতা'
আপনার কথা, আমি শ্রোতা ট্যাগলাইন দিয়ে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে বুথ পর্যায়ের কর্মীদের জন্য। তাদের উপদেশ এবং অভিযোগ শোনার জন্য এই হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। এতে দল শক্তিশালী হবে বলেও মনে করছে তৃণমূল।
বাঁকুড়ায় সব থেকে বড় কর্মীসভা
লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর বাঁকুড়ায় হতে চলেছে তৃণমূলের সব থেকে বড় কর্মীসভা। সতীঘাট এলাকায় গন্ধেশ্বরী নদীর পাশেই জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানেই ভাষণ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঞ্চও তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। রান্নারও বড় আয়োজন করা হয়েছে সেখানে। হাজির তাকতে চলেছেন লোক শিল্পীরাও। মঞ্চ তৈরির কাজও সম্পূর্ণ।
শাহিনবাগ এলাকায় ভোট গণনা ঘিরে বিভ্রান্তি! আপের আমানাতুল্লাহ বনাম ব্রহ্ম সিং যুদ্ধ তুঙ্গে