জল্পনার অবসান, মুখ্যমন্ত্রী জানালেন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজছে কবে
নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের একটা সম্ভাব্য নির্ঘণ্ট তৈরি করেছিল আগেই। তবে সেই নির্ঘণ্ট মেনে সম্ভবত নির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী আভাস দিলেন কবে পঞ্চায়েত ভোট।
নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের একটা সম্ভাব্য নির্ঘণ্ট তৈরি করেছিল আগেই। তবে সেই নির্ঘণ্ট মেনে সম্ভবত নির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে না। বুধবার বীরভূমের বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আভাস দিলেন কবে বাজছে পঞ্চায়েত-যুদ্ধের দামামা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এই বছরের আগস্টেই রাজ্যে বসছে পঞ্চায়েতে নির্বাচনের আসর।
[আরও পড়ুন: গদা নয়, দিলীপ ঘোষকে লেজ 'উপহার' দেবেন মদন, রামনবমীর আগে জমে গেল তরজা]
জন প্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিক- সবার সামনেই তিনি প্রকট করে দিলেন নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, পঞ্চায়েত ভোট এসে গেল। আপনারা সবাই তৈরি তো! সম্ভবত আগস্টেই পঞ্চায়েত ভোট হবে রা্জ্যে। ভোটের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে তিনি নির্দেশ দেন সবাইকে তৈরি থাকতে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সকলেই ধরে নেন আগস্টের মধ্যেই তাহলে পঞ্চায়েত ভোট হবে। এরপরই জেলায় উন্নয়নের হাল হকিকৎ খুঁটিয়ে জানতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা দেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার। নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও বর্তমান বিধায়ককে ঝগড়া মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে বলেন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে ভিড়লেন কর্মীরা, পঞ্চায়েত আগে শক্তিবৃদ্ধি বিরোধী শিবিরে]
মোট কথা, প্রশাসনিক বৈঠকের মাধ্যমে তিনি যেমন জেলায় উন্নয়নের বার্তা দিচ্ছেন, তেমনই চাপে রাখছেন প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে জন প্রতিনিধিদেরও। আর দলের মধ্যে যে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে, তা মিটিয়ে নিতে আর্জি জানাচ্ছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে পঞ্চায়েত ভোটের একপ্রকার আভাস পাওয়ার পর জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে চর্চা।
এদিন ডেবরা থেকেও একই বার্তা দেন তিনি। আবেদন করেন ফের তাঁকে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়ার। প্রশাসন ও দলীয় সংগঠনকে সজাগ করে দেন তিনি। এবার সারা রাজ্যে ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন সকলকে।
[আরও পড়ুন:হাসিনের পাশে থাকবেন মমতা! আর্জি মেনে শামি-কাণ্ডে দিলেন সাক্ষাতের সময়]