উন্নয়নের সবুজে পাহাড়কে মুড়ে দিতে চান মমতা, অতীত ভুলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান
কালিম্পংয়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, আর ছাই ওড়ানো নয়, উন্নয়নের সবুজে পাহাড়কে মুড়ে দিতে চাই আমি। যা হয়েছিল অতীত।
অতীত ভুলে পাহাড়কে এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কালিম্পংয়ের সভায় তিনি সাফ জানালেন, আর ছাই ওড়ানো নয়, উন্নয়নের সবুজে পাহাড়কে মুড়ে দিতে চাই আমি। যা হয়েছিল অতীত। সে সব মনে না রেখে ভালো কাজ করুন। তাহলেই পাহাড়ের জন্য বেশি বরাদ্দ করবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে যা হয়েছিল, তা অতীত মনে করে সবাই মিলে এগিয়ে আসুন। উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হন। রাজ্যের মানুষ পাহাড়কে ভালোবাসে। তাই পাহাড়ের পর্যটন ব্যবস্থাকে আরো বাড়ানোর উপর তিনি বিশেষ নজর দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে হোটেল, হলিডে হোম আরও বাড়ানোর আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলকে উপড়ে ফেলার উপায় পেয়েছেন লকেট! নয়া কৌশলে পাখির চোখ লোকসভা]
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে এডুকেশন হাব হবে। একাধিক কলেজ ও আইটিআই তৈরির ভাবনা আছে রাজ্য সরকারের। এ জন্য পাহাড়ের সমস্ত উন্নয়ন পরিষদ, মোর্চা-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল ও জিটিএ-কে এক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন পাহাড়ে এক নয়া সমাকরণের জন্ম হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাহাড়ের ৮টি বোর্ডের জন্য ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মরংপুতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য জমি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য তিনি লড়াই করে যাবেন।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ে নয়া সমীকরণ তৈরি মমতার সফরে, উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে দিলেন বিশেষ বার্তা]
তিনি বলেন, জোর করে বনধ করলে উন্নয়ন থমকে যায়, ক্ষতি হয় পাহাড়ের মানুষেরই। তাই পাহাড়ের স্বার্থে, বাংলার স্বার্থে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। যে বোর্ড ভালো কাজ করবে তাদের আরও সাহায্য করা হবে। এদিন তিনি সবাইকে একতার বার্তা দিয়ে প্রকারান্তরে হুঁশিয়ারি দেন বিমল গুরুংকেই।