মোদীর সামনে সরকারি অনুষ্ঠানে পদবি-বিভ্রাটে মমতা, টেনশনেই কি এমন ঘটে গেল
মোদীর সামনে সরকারি অনুষ্ঠানে পদবি-বিভ্রাটে মমতা, টেনশনেই কি এমন ঘটে গেল
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেষবার যখন সশরীরে একই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন সেই ১২৫তম নেতাজি জন্মজয়ন্তী উৎসবেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবারও ভার্চুয়ালি সমাবেশেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। শুক্রবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদবি বিভ্রাটে পড়লেন।
পদবি বলতে ভুলে গেলেন, হয়তো টেনশনে!
সঞ্চালিকায় মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তব্যের জন্য আহ্বান করার সময় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদবি উল্লেখ করেননি। তিনি শুধু মমতাজি বলে আহ্বান করেন। সে প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণের শুরুতেই বলেন, ধন্যবাদ সঞ্চালিকাকে। তিনি আমার পদবি বলতে ভুলে গেলেন। হয়তো টেনশনে ভুল করেছেন।
সৌজন্যের মধ্যেও পদবি-বিভ্রাটের বিতর্ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিতর্ক উসকে দিয়েই বলতে শুরু করেন, প্রথমত কলকাতার অনুষ্ঠান, তারপর প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য এসেছি। তারপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুবার ফোন করেছিলেন। তাঁর আসার কারণ ব্যক্ত করে সৌজন্য প্রদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রয়ে যায় পদবি-বিভ্রাটের বিতর্ক।
মমতা কথাটি উচ্চারণের পরেই সাউন্ডে সমস্যা
সঞ্চালিকা বাংলাতেই সম্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদবি বলতে শোনা যায়নি। শুধু বলেন, শ্রীমতী মমতাজি। তবে তিনি মমতা কথাটি উচ্চারণের পরেই সাউন্ডে একটা সমস্যা তৈরি হয়। তিনি মমতাজি বলেছেন, নাকি মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। একটা বিপ আওয়াজের ফলে যেটা কানে পৌঁছয়, তাতে মনে হয় তিনি মমতাজি বলেছেন।
নামের পর ‘জি’ যুক্ত করে সম্মান প্রদর্শন
সঞ্চালিকা পদবি বলতে ভুলে গিয়ে থাকলেও উত্তর ভারতের সংস্কৃতি অনুযায়ী নামের পর 'জি' যুক্ত করে সম্মান জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন বক্তব্য পেশ করার জন্য। ভারতীয় সংস্কৃতিতে নাম ও পদবির পর 'জি' যুক্ত করে অনেককেই সম্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষেত্রে বহুক্ষেত্রেই মোদীজি বলে সম্বোধন করা হয়।
সরকারি অনুষ্ঠানে তা অনভিপ্রেত ঘটনা
তবে ঘরোয়া পরিবেশে ওই সম্বোধন চলে, সরকারি অনুষ্ঠানে তা অনভিপ্রেত। তা মোটেও কাঙ্খিত নয়। এদিন চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ক্যাম্পাসের নির্মাণে আর্থিক অংশীদার রাজ্যও। ২৫ শতাংশ অর্থ আমরা দিয়েছিল। রেকারিং খরচও সরকার দিচ্ছে। ১২ একর জমিও রাজ্যের দেওয়া।
হাসপাতালের উদ্বোধন আগেই হয়ে গিয়েছে!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথাও বলেন যে, হাসপাতালের উদ্বোধন আগেই হয়ে গিয়েছে। কারণ কোভিডের সেন্টারের দরকার ছিল। রাজারহাট চিত্তরঞ্জন ক্যাম্পাসকে কোভিডের কাজে লাগিয়েছিলাম আমরা। তাই উদ্বোধন করা হয়েছিল আগেই। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সামনে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের কথাও তুলে ধরেন।