করোনায় তবলিঘ-ই-জামাত সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী, সংখ্যালঘু তুষ্টির অভিযোগ বিজেপির
রাজ্যে করোনায় তবলিঘ-ই-জামাত সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
দিল্লি ফেরত কতজন তবলিঘ-ই-জামাত সদস্যকে পশ্চিমবঙ্গে চিহ্নিত করা হয়েছে। নবান্নে হওয়া সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক বলে এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত দিল্লি থেকে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়া তবলিঘ-ই-জামাত সদস্যরা সেই সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
কোনও সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লিতে কতজন তবলিঘ-ই জামাত সদস্য যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে? এই প্রশ্নে ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর এই ধরনের সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাদ দেওয়া হয়েছে এই অংশ
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেক্রেটারিয়েটের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ভিডিওটি আপলোড করা হলেও, দিল্লির মসজিদ নিয়ে প্রশ্ন কিংবা উত্তরে কোনও অংশ রাখা হয়নি সেখানে।
বিজেপির অভিযোগ
বিজেপির তরফে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তবলিঘ-ই-জামাত বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘুদের তুষ্ট করতে চাইছেন।
গত সপ্তাহের তথ্য দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
যদিও গত সপ্তাহে এনিয়ে তথ্য দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭১ জন দিল্লির নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে রাজ্য সরকার ৫৪ জনের হদিশ পেয়েছে। এই তালিকায় মধ্যে ৪০ জন বিদেশি। তাঁরা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকে গিয়েছিলেন। সবাইকে কলকাতায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সূত্রের দাবি, ৩০০ জন কোয়ারেন্টাইনে
কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে তবলিঘ-ই-জামাতে যাওয়া ৩০০ জনকে নিউটাউনে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১০৮৯ জন বিদেশি আর ১৯৫ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তবে এই তথ্যে কোনও সরকারি সমর্থনের কথা জানা যায়নি।
দেশে আক্রান্তদের এক তৃতীয়াংশ তবলিঘ-ই-জামাতের সঙ্গে যুক্ত
ভারতে এখনও পর্যন্ত যতজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ তবলিঘ-ই-জামাতের সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি করা হচ্ছে।
'তবলিঘি সদস্যরা যদি নিজে থেকে না ধরা দেন , তাহলে গুলি করা হোক'! বিজেপি নেতা আরও যা বললেন