অন্য রাজ্যের পরিযায়ীদের থাকা, কাজের সুযোগ রয়েছে! কেন্দ্রের সরকারকে 'লকডাউন সরকার' বলে আক্রমণ মমতার
অন্য রাজ্যের পরিযায়ীদের থাকা, কাজের সুযোগ রয়েছে! কেন্দ্রের সরকারকে 'লকডাউন সরকার' বলে আক্রমণ মমতার
কেন্দ্রের সরকারকে লকডাউন সরকার বলে অভিহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার জেরে কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার অবিবেচকমূলক দুরভিসন্ধি। তিনি বলেন, এখন মানুষের কথা বলার লোক কম।
শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে লকডাউন সরকার
কেন্দ্রীয় সরকারকে লকডাউন সরকার বলে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল, চটকল, চা-সহ সব শিল্পসংস্থাকে শ্রমিকদের বেতন, মজুরি দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার।
কেন্দ্র পুরো বেতন দিচ্ছে না
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, দোকান না খুললে, হকার কিংবা দোকানদাররা খাবেন কী? বেসরকিরা সংস্থার কর্মীরাই বা কীভাবে বেতন পাবেন? তিনি বলেন, একদিকে রোগের ভয়, অন্যদিকে কাজ না করলে অনাহারে মরার ভয়। তিনি বলেন, রাজ্যে সরকারি কর্মীদের পুরো মাইনে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র পুরো বেতন দিচ্ছে না। তিনি বলেন, কেরলে শিক্ষকদের পুরো বেতন দেওয়া হচ্ছে না।
কেন্দ্রের লকডাউন অপরিকল্পিত
কেন্দ্রের লকডাউন ঘোষণাকে অপরিকল্পিত বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন ঘোষণার তিন কিংবা সাতদিন আগে থেকে কেন শ্রমিক স্পেশালে পরিযায়ীদের ফেরানো হয়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, যেখানে ১২০০ লোক ধরে সেখানে গাদাগাদি করে দু-আড়াই হাজার লোক পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র, সুরাত, দিল্লি, চেন্নাইতে পরিযায়ীদের পুলিশের মার খেতে হয়েছে।
ফিরতে চাননি অন্য রাজ্যের পরিযায়ীরা
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বাংলায় থাকা, খাওয়া, কাজের ব্যবস্থা থাকায় ট্রেনে ফেরাতে চাইলেও অন্যরাজ্যের পরিযায়ীরা ফিরতে চাননি।
২-৩ দিনে আসবেন আরও ৩০ হাজার মানুষ
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে জানান, এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষ মানুষ ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকার ২৫৫ টি ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। আগামী ২-৩ দিনে আরও ২২ টি ট্রেনে ৩০ হাজার মানুষ রাজ্যে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এখন থেকে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে পরিযায়ীদের। সেখানেই তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
পরিযায়ীদের আশ্রয় দিতে চাননি, নাটক করছেন! মমতাকে চড়া সুরে আক্রমণ রাহুলের