অন্যায় করলেন মোদী-শাহ, বাংলাকে অপমান করার পর পুরষ্কার দিল কমিশন, তোপ মমতার
অন্যায় করলেন অমিত শাহ, অন্যায় করল বিজেপির গুন্ডারা। আর নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলাকে অপমান করল।
অন্যায় করলেন অমিত শাহ, অন্যায় করল বিজেপির গুন্ডারা। আর নির্বাচন কমিশন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলাকে অপমান করল। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার এভাবে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করে কী বোঝাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন? নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতারা যা বলছেন, তাই শুনছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদিও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এতটাই চিন্তিত, তাহলে কেন আজকেই নির্বাচনী প্রচারের ইতি ঘটালেন না? কেন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা টানালেন? মোদীজির দুটো সভা আছে বলে। এই নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট।
একদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সরিয়ে দিতে পারে রাজ্যের কোনও পদাধিকারীকে। কাকতালীয়ভাবে তারপরই সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে। সরিয়ে দেওয়া হল এডিজি সিআইডি রাজীবকুমারকে। মোদীজি বলেছেন রাজ্যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি, তারপরই ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করল কমিশন। এইসব ঘটনা প্রমাণ করছে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই চলছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানান মমতা।
এর আগেও 'গদ্দারে'র কথায় এসপি বদল করা হয়েছিল কোচবিহারে। এছাড়াও আরও রদবদল হয়েছে বিজেপির কথায়। মমতার অভিযোগ, তাঁদের অভিযোগগুলিকে কোনও আমলই দিচ্ছে না। রাজ্যে যে এত টাকা উদ্ধার হল বিজেপি প্রার্থী, নেতাদের গাড়ি থেকে, সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ।
মমতা বলেন, মোদীজি আমাকে ভয় পাচ্ছেন। মোদীজি জানেন, মমতা তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তাই মোদীজি বাংলাকে টার্গেট করছেন। রাজ্য পুলিশকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাচ্ছেন। মমতা প্রশ্ন তোলেন, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে এত রাগ কেন বিজেপির? হাওলা ধরেছে বলে।
মমতা বলেন, বাংলাকে কলঙ্কিত করেছে ওরা। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর মোদী-শাহকে পুরষ্কৃত করেছে নির্বাচন কমিশন। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এর বদলা নেব। বাংলার মানুষ ভোটবাক্সে এর জবাব দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফ্যাসিস্ট কায়দায় ভোট করাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তাতে কোনও লাভ হবে না মিস্টার নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, আমি মিস্টার নির্বাচন কমিশন তোমাকে আঘাত করতে চাইনি, কিন্তু তোমরা বাধ্য করছ, আমাকে আঘাত করতে। তিনি বাংলার জনগণের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করেন, আপনারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মোমবাতি মিছিল করুন, প্রতিবাদ মিছিল করুন। মমতা বলেন, শুক্রবার আমার কিছু কর্মসূচি ছিল বলেই চক্রান্ত করে এইসব করছে। আমার সব কর্মসূচিই হবে, শুক্রবারের সব কর্মসূচিই বৃহস্পতিবার হবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও রাজ্যে প্রয়োগ করা হল ৩২৪ ধারা। বাংলাতেই প্রথম ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করা হল। কমিয়ে দেওয়া হল প্রচারের সময়। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রচারই পুরো একদিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবারই প্রচার শেষ হচ্ছে।