প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী
সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১২ টায় বিধানসভায় দেহ আসার কথা ছিল। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। তারপর একঘন্টা অপেক্ষাও করেন। এরপর তিনি বেরিয়ে যান।

শেষ শ্রদ্ধার জন্য ১ ঘন্টার অপেক্ষা
অপেক্ষা করলেন এক ঘণ্টা। তারপরেও প্রয়াত সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দেহ বেলা ১২টা নাগাদ আনার কথা ছিল বিধানসভায়, বিধান ভবন থেকে। সেইমতো বিধানসভায় যান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও সোমেন মিত্রর শববাহী গাড়ি বিধানসভায় না আসায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১২টায় দেহ আসবে জেনে বিধানসভায় অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবন থেকে দেহ এসে পৌঁছয়নি একঘন্টা পরেও।

বিধানসভায় শ্রদ্ধা অধ্যক্ষের
সোমেন মিত্রর দেহ বিধানসভায় পৌঁছালে সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা।

অম্লমধুর সম্পর্ক
সোমেন মিত্রের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কটা ছিল অম্ল মধুর। গণিখান চৌধুরী বেঁচে থাকতে তাঁর ভাবশিষ্য বলেই পরিচিত ছিলেন সোমেন মিত্র। প্রদেশ সভাপতির পদে নির্বাচন নিয়ে তাঁদের দ্বন্দ্বটা জানেন সেই সময়ের রাজনীতিকরা। তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছাড়তেই ধস নামা শুরু হয় কংগ্রেসে। সেই সময় সভাপতির পদে ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আবার ২০০৯ সালে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূলে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

ছোড়দাকে ভুলতে পারেননি মমতা
২০১৪ সালে মত বিরোধের কারণে তৃণমূল ত্যাগ করেন সোমেন মিত্র। নিজের দল তৃণমূল ছেড়ে আসলেও, সোমেন মিত্রকে ভুলতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে নিয়মিত সোমেন মিত্রের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর করেছেন তিনি।
গুরুতর অসুস্থ সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী, ভর্তি হাসপাতালে
