প্রচলিত রীতি ভেঙে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম গ্রন্থন, ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী দিলেন বিশেষ বার্তা
উচ্চমাধ্যমিকে এবার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে কলা বিভাগ থেকে সেরার শিরোপা মাথায় তুলে নিয়েছে জলপাইগুড়ির গ্রন্থন সেনগুপ্ত। আর এই চমকপ্রদ সাফল্যের পর মোবাইলে বেজে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বর।
উচ্চমাধ্যমিকে এবার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে কলা বিভাগ থেকে সেরার শিরোপা মাথায় তুলে নিয়েছে জলপাইগুড়ির গ্রন্থন সেনগুপ্ত। আর এই চমকপ্রদ সাফল্যের পর মোবাইলে বেজে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বর। ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানালেন গ্রন্থনকে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন পেয়ে আনন্দে ফের আত্মহারা এবার উচ্চমাধ্যমিকের সেরা ছাত্র গ্রন্থন।
ফোন করে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? গ্রন্থনকে আগামীদিনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন মমতা। আরও বড় হওয়ার আশীর্বাদ করেছেন। সেইসঙ্গে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন একদিন চা চক্রে আলাপচারিতার। শুধু গ্রন্থন নয়, অন্যান্য কৃতীদেরও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এদিন দুপুর দুটো নাগাদ ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্চমাধ্যমিকে বরাবর বিজ্ঞান বিভাগের ছেলেরা শীর্ষস্থানে থাক। তাদের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গ্রন্থ যে কীর্তি গড়েছে, তার সেই প্রচেষ্টাকে স্যালুট জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, গ্রন্থনকে ফোন করে স্পেশাল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
উল্লেখ্য, ৫০০-র মধ্যে ৪৯৬ নম্বর পেয়েছে গ্রন্থন। শতাংশের নিরিখে ৯৯.২। পড়াশোনার পাশাপাশি নাটক-গানেও সমান দক্ষ গ্রন্থন। ফুটবলটাও খুব ভালোবাসেন। প্রাণের নাটককে এক বছর তুলে রেখেছিলেন। চেয়েছিলেন উচ্চমাধ্যমিকে কিছু একটা করে দেখাতে। মাকে বলেছিলেন, মা কিছু একটা এবার হবই। তা-ই হয়েছে। একেবারে শিখরে স্থান করে নিয়েছে ইতিহাস পাগল গ্রন্থন। তাই সবাইয়ের পরামর্শ দূরে ঠেলে সায়েন্স ছেড়ে আর্টস নিয়েই পড়ে গ্রন্থন। মনোবলকে ভরসা করেই সে দেখাল চেষ্টা করলে যে কোনও বিভাগেই সেরা হওয়া যায়।
এদিন ফোনের পাশাপাশি টুইটারেও উচ্চমাধ্যমিকের কৃতীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফল বেরনোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি টুইট করেন। তিনি লেখেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।