বাংলা ছাড়িয়ে টার্গেট লালকেল্লা, মোদী-নিশানায় ‘দিল্লি চলো’ ডাক মমতার
‘২০১৮ সালেই লালকেল্লায় শেষবার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডেরেকের পর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লালকেল্লা দখলের ডাক দিলেন।
ত্রিপুরা জয়ের পর বাংলার দিকে নজর দিতেই বিজেপিকে সাবধান করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর ও তাঁর দলের পরবর্তী টার্গেট স্পষ্ট করে দিলেন। সোমবার বর্ধমানে সরকারি জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, 'আমাদের পরবর্তী টার্গেট বাংলা।' তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়ে বলেন- 'দিল্লি চলো।'
[আরও পড়ুন: নীতিই আসল কথা, দল বা নেতাকে গৌণ করে প্রাসঙ্গিকতার 'সন্ধান' দিলেন ইয়েচুরি]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেউ কেউ বলছেন, ওদের টার্গেট বাংলা। কিন্তু আমাদের টার্গেট দিল্লির লালকেল্লা।' তিনি এদিন বার্তা দেন, 'আগামীদিনে বাংলা দেশ জয় করবে, বিশ্ব জয় করবে।' তিনি এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, 'বাংলা কিছু চায় না, বাংলা চায় দেশ ভালো থাকুক। গরিব মানুষ সুস্থিরে থাক।'
তাঁর কথায়, 'মানুষ একটা সময় ভাবত ব্যাঙ্কে টাকা রাখা নিরাপদ। কিন্তু কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাঙ্কেও সঞ্চিত অর্থের নিরাপত্তা নেই। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও নিরাপদ নয়। তাই কেন্দ্রের সরকারের অধিকারই নেই ক্ষমতায় থাকার। আর ২০১৯-এই সেই সরকারের পতন ঘটবে। আমাদের তাই টার্গেট লালকেল্লা। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সাবধান করে দেন, আগে ২০১৯ সামলাক, তারপর দৃষ্টি দেবে বাংলার দিকে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা বিজয়ের পরেই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা বাংলাকে টার্গেট করেছিলেন। বাংলা, ওড়িশা, কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও কেরলে জিতে স্বর্ণযুগ আনবে বিজেপি। এই বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির স্বর্ণযুগ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বার্তা দিয়েছিলেন আগে দিল্লি সামানোর। তারপর বাংলার দিকে চোখ তুলে তাকানোর।
তারপর বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি বলেন, '২০১৮ সালেই লালকেল্লায় শেষবার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ ২০১৯-এর স্বাধীনতা দিবসে তিনি আর প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকবেন না। তাই ২০১৯-এ তাঁর লালকেল্লায় আর ভাষণ দেওয়া হবে না।'
[আরও পড়ুন: বুদ্ধ-বিমান যুগের অবসান! নবীনোদয়ে রক্তক্ষরণ রোখার শেষ চেষ্টা বঙ্গ সিপিএমে]