‘সরকার মশার আমদানি করে না’, ডেঙ্গির জন্য কার দিকে আঙুল তুললেন মমতা
‘মৃত্যু সবসময়ই কষ্টকর। তা বলে সেই মৃত্যুকে নিয়ে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করার কোনও অর্থ হয় না। রাজ্যের এক শ্রেণির রাজনৈতিক দল তা-ই করে বেড়াচ্ছে।
'ডেঙ্গির জন্য খানিকটা দায়ী আবহাওয়াই।' ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কারণ দর্শিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, 'মশা কেউ আমদানি করে না। তাই মশা মারার ব্যবস্থা সবাইকেই করতে হবে। বন্যার পর জ্বর, ডায়েরিয়ার একটা প্রবণতা থাকে। কিন্তু তা বলে ডেঙ্গিতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। রাজ্য সরকার সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।'
তিনি এদিন বলেন, 'মৃত্যু সবসময়ই কষ্টকর। তা বলে সেই মৃত্যুকে নিয়ে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করার কোনও অর্থ হয় না। রাজ্যের এক শ্রেণির রাজনৈতিক দল তা-ই করে বেড়াচ্ছে। নোংরা পলিটিকস করাই ওই রাজনৈতিক দলের কাজ। কারণ তাদের হাতে কুৎসা আর অপপ্রচার ছাড়া করার কিছুই নেই।'
সোমবার নবান্নে ডেঙ্গি মোকাবিলায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, 'সরকারি তরফে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের সমস্তরকম বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা যেমন তাঁদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, তেমনই পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নেমে সক্রিয়ভাবে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদের।'
তিনি বলেন, 'ডেঙ্গিই হোক বা অন্য কোনও রোগ, কিংবা ডেঙ্গির মশা সরকারের হাতে নেই। অথচ তা নিয়েই বিরোধীরা রাজনীতি করতে নেমে পড়েছে। ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ১৩ জন রোগীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। আর বেসরকারি হাসপাতালের ২৭টি রিপোর্ট এসেছে। তা খতিয়ে দেখা দরকার। এই নিয়েই মোট ৪০ জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।'
তাঁর কথায়, 'অন্যান্য রাজ্যে আরও অনেক বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ পশ্চিমবঙ্গকেই টার্গেট করা হচ্ছে। সমালোচনা করা হচ্ছে।' এ প্রসঙ্গে তিনি গুজরাট থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ, কেরল, ওড়িশা-সহ অন্যান্য রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে পরামর্শ দেন জ্বর হলেই অবহেলা না করে ডাক্তার দেখাতে। তিনি বলেন, 'পুরসভা-পঞ্চায়েতগুলিকে টাকা দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' এখন পর্যন্ত তিনটি ল্যাবরেটরির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।