ভোটের আগে কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! জানুয়ারি থেকে সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে ডিএ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ভোটের আগে কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! জানুয়ারি থেকে সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে ডিএ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ভোটের মুখে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এদিন তিনি নবান্নে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হবে। সামনের জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জানুয়ারি থেকে ৩ শতাংশ ডিএ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের বৈঠকে জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়া হবে। অর্থসচিব জানিয়েছেন এর জন্য ২২০০ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন ঋণের বোঝা থাকলেও ডিএ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মীদের ডিএ দুবছরের জন্য ফ্রিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আগামী বছর পর্যন্ত ডিএ দেওয়ার বন্ধ রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা চরম অনিশ্চয়তায়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও তিনি বলেন এদিন।
২০২০-র জানুয়ারি থেকে লাগু হয়েছিল পে কমিশন
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেক আর্থিক অসুবিধার মধ্যেও জানুয়ারি ২০২০ থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া পে কমিশন চালু করা হয়েছিল। এদিন অর্থসচিব জানিয়েছেন, ২০১১ সালে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৩০ শতাংশ মহার্ঘভাতা পেতেন। পে কমিশন চালু হওয়ার আগে তা বেড়ে হয়েছিল ১২৫ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পে কমিশন চালু করতে রাজ্য সরকারের প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মীর বেতন ১০০ টাকা হলে, পে কমিশন অনুযায়ী তাঁর বেতন হয়েছে ২৮০. ৯০ টাকা। একইসঙ্গে গ্র্যাচুইটির ৬ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা লহয়।
ডিএ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্যাট
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯-এর ২৬ জুলাই স্যাট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল পরবর্তী ছয়মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা না দেওয়ার মামলা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকার স্যাটের নির্দেশের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। যদিও এরই মধ্যে তৃণমূলপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মীদের চিঠি গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যা নিয়ে এদিন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের বকেয়া ৮৫ হাজার কোটি টাকা
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বয়েকা নিয়েও সরব হয়েছেন। তিনি বলেছেন কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর ২০০০ টাকার দুর্নীতি নিয়ে ওরা কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রী পিএম কেয়ার্সের টাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এছাড়াও তিনি কোভিডের খরচের কথাও জানান। তিনি বলেন এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতাল চালাতেও টাকা লাগছে। তাঁর অভিযোগ, করোনার পাশাপাশি আম্ফানের টাকাও কেন্দ্র এখনও দেয়নি রাজ্য সরকারকে।
'ছিনতাই বাজ কর্মকর্তা'! সেমসাইড গোলের জবাবে দিলীপ ঘোষকে আর কী বললেন সৌগত রায়