নন্দীগ্রামের হার্মাদরা কোথায় আশ্রয় নিয়েছে, বাজকূলের জনসভায় স্পষ্ট করলেন মমতা
নন্দীগ্রামে কীসের সূর্যোদয় হয়েছিল? তা আমরা ভুলিনি। ভুলিনি নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর নেপথ্য নায়কদেরও।
নন্দীগ্রামে কীসের সূর্যোদয় হয়েছিল? তা আমরা ভুলিনি। ভুলিনি নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর নেপথ্য নায়কদেরও। তাঁরা আজ কোথায়, কোন দলে নাম লিখিয়েছে, তা নিশ্চয়ই বলে বোঝাতে হবে না, তাঁদেরকে সমর্থন করবেন? পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকূলে প্রশাসনিক জনসভা থেকে সাবধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সতর্ক করলেন ওঁদের ফাঁদে পা দেবেন না।
সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপিতে
মমতার কথায়, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি শিবিরে। ওঁদের নিয়েই বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছেন বিজেপি। শুধু লাল জামা খুলে গেরুয়া জার্সি পরে নিয়েছে ওঁরা। ওঁদেরকে বিশ্বাস করবেন না। একবার ভাবুন, রাজ্যে আপনাদের সরকার রয়েছে। তৃণমূল সরকার সদা ব্যস্ত মানুষের পরিষেবায়। যাবতীয় জনমুখী প্রকল্প নিয়ে সদা-সর্বদা সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।
চরম বার্তা নন্দীগ্রামের খলনায়ককে
নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পিছনে যিনি আছেন, তাঁর কোনও ঠাইঁ নেই তৃণমূলের। এদিন নাম না করেই লক্ষ্মণ শেঠকে চরম বার্তা দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। এদিন বাজকূলের সভা থেকে তাঁর জবাব পেয়ে গেলেন লক্ষ্মণ শেঠ।
[আরও পড়ুন: দেশের ৬৯ শতাংশ গো-হিংসার ঘটনা ঘটেছে শুধু উত্তরপ্রদেশে, সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ]
ভেকধারীদের প্রশ্রয় নয়
বিজেপি মানুষে মানুষে বিভেদ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা ফাঁদ পেতে রেখেছে। তাই সাবধান হয়ে পা রাখতে হবে। কেননা বাম জমানার অত্যাচার আমরা ভুলিনি। গ্রামের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে ওঁরা। আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তাহে কি আবার ওঁদেরকে সুযোগ দেবেন। মনে রাখবেন ওঁরা ভেকধারী। ওঁরা সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোতে চায়।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, কোনও প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্রের সরকার। আমরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আটকে রেখে দিয়েছে বিজেপি। তবে ওসবে ডরাই না। আমরা নিজের কাঁধে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী করে দিয়েছি। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে চতুর্দিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। এই সাত বছরেই দিঘা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের হাল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। দিঘা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে গোয়াকেও টপকে যাবে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বাসঘাতকদের জেতাবেন না, তোলেঙ্গানা ভোটের আগে টুইটে ভিডিও-বার্তা সোনিয়ার]
বিজেপি হল খেদানো পার্টি
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, বিজেপি অসম থেকে হিন্দু খেদায়, গুজরাট থেকে বিহারি খেদায়। খেদানোই ওঁদের কাজ। ওঁদের দ্বারা কোনও ভালো কাজ হতে পারে না। আজ এ রাজ্যে সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপিতে ঢুকে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে। কিন্তু আমার চ্যালেঞ্জ কোনও হার্মাদকে রেয়াত করা হবে না। আর কোনও হার্মাদ জন্মাবে না বাংলায়। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে দেব না। মানুষে মানুষে গণ্ডগোল লাগাতে দেব না।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে রিপোর্ট দাবি! আদালতের নির্দেশে 'বেকায়দায়' সরকার]