আম্ফান বিপর্যয়ের জন্য ১০০০ কোটি টাকার ফান্ড ঘোষণা, কাজ ভাগ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
আম্ফান বিপর্যয়ের জন্য ১০০০ কোটি টাকার ফান্ড ঘোষণা, কাজ ভাগ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলার জন্য ১০০০ কোটি টাকার ফান্ড ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মেরামতির কাজ ভাগ করে দিলেন বিভিন্ন দফতরের মধ্যে। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন জরুরি বলে বেশি টাকা খরচ করা যাবে না। বুঝে শুনে খরচ করতে হবে। কড়া বার্তা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী
আম্ফানের তাণ্ডব
করোনার পরে সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডব। এযাবত এই বিধ্বংসী ঝড় দেখেনি শহরবাসী। তিন জেলা একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট, েটলিফোন, বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা সহ একাধিক রাজ্যে তছনচ হয়ে গিয়েছে মহানগর সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর। এমনই ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালিয়েেছ আম্ফান।
১০০০ কোটি টাকার ফান্ড
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আম্ফানের তাণ্ডবে আর্থিক ভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য। তার পরেও আম্ফানের ক্ষতি মোকাবিলায় ১০০০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রী এবং দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই এই ফান্ডের কথা ঘোষণা করে দেন। তবে জরুরি প্রয়োজন বলে বেশি টাকা খরচ করা যাবে না সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বুঝে শুনে কাজ করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী মেরামতিতে জোর
আম্ফানে যে নদী বাঁধ, বিদ্যুৎ, সড়ক, গৃহ স্কুল বাড়ি সহ একাধিক জিনিসের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তা তৎপরতার সঙ্গে মেরামতির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই মেরামতি যেন দীর্ঘ মেয়াদী হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সড়ক মেরামতি করা হলে সেটা ৩ বছরের জন্য যেন স্থায়ী হয়। সামনেই বন্যা আসছে তার কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে সকলকে। সব সফতরে যৌথভাবে কজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কাজ ভাগ করে দিলেন মমতা
যে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে তার জন্য বিভিন্ন দফতরকে কাজ ভাগ করে দিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে পানীয় জলের সংকট মেটাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১০ লক্ষ পানীয় জলের পাউচ এবং রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য ৫০০ মেট্রিকটন ব্লিচিং পাউডার দিতে হবে। এছাড়া বিপর্য মোকাবিলা দফতরকে ত্রিপল বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চাষের ক্ষতি দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে কৃষি দফতর। সাপের উপদ্রব বাড়বে তাই আগে থেকেই প্রত্যন্ত এলাকায় অ্যান্টি ভেনাম, অ্যান্টি ডায়রিয়ার ওষুধ মজুত রাখতে হবে। মেডিকেল ক্যাম্প করবে স্বাস্থ্য দফতর। ছোট সেতু ও কালভার্ট মেরামতি করবে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় স্কুলের মেরামতি, ছাত্রছাত্রীদের বই ও ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা করবে শিক্ষা দফতর। নারী পাচার যাতে না হয় সেটা নজরে রাখবে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। আদিবাসী কল্যাণ দফতকে উদ্যোগী হতে হবে শিক্ষাশ্রী, জয়বাংলা প্রকল্পগুলি কার্যকর করার। এছাড়া আদিবাসী হোস্টেল মেরামত করতে হবে। বনদফতর ম্যানগ্রোফ লাগানোর কাজ করবে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে মেরামতির কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আম্ফানের মহাপ্রলয়ের বলি রাজ্যে ৭২, মোদীকে পরিস্থিতি পরিদর্শনের আহ্বান মমতার