মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের মোড়কে রাজ্যপালের সংঘাতের অবসান! শুভেচ্ছা বাংলা নববর্ষের
রাজ্য সরকার আর রাজ্যপালের সংঘাত তো লেগেই রয়েছে প্রথম দিন থেকেই। কিন্তু তাতে সৌজন্যের বাতাবরণে এতটুকু খামতি নেই।
রাজ্য সরকার আর রাজ্যপালের সংঘাত তো লেগেই রয়েছে প্রথম দিন থেকেই। কিন্তু তাতে সৌজন্যের বাতাবরণে এতটুকু খামতি নেই। নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা মিষ্টি-সহযোগে রাজভবনে পাঠিয়ে সেই সৌজন্যের সুবাস দিলেন মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনায় আতঙ্কের মধ্যেও যে সংঘাত তৈরি হচ্ছিল, তা নিমেষে উধাও।
রাজভবনে ফুল-মিষ্টি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে রাজভবনে ফুল-মিষ্টি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যবাসীকে শুধু ‘শুভ নববর্ষ' জানিয়েছিলেন শুভেচ্ছায়। এছাড়া লিখিত কোনও বার্তা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য কালক্ষেপ না করে সটান সস্ত্রীক রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানালেন।
প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল
রাজভবনের সঙ্গে লকডাউন সমাপ্ত করা হোক বলে টুইট করে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার ঠিক একদিন পরেই বিস্ফোরক হয়ে উঠে তিনি আবার টুইট করে জানান, রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন, সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি আবেদন করেন সংবিধান অনুসরণ করুন।
সৌজন্যের মোড়কে সংঘাতের অবসান
নববর্ষের প্রথম দিনের সকালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ওই মন্তব্য করার পর সংঘাতের বার্তাই সুষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। রাজ্যপালের সঙ্গে লকডাউন অসাংবিধানিক এবং গণতন্ত্র বিরোধী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে তারপর মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্যের মোড়কে সেই সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মিষ্টি নিয়ে রাজভবনে ফিরহাদ
রাজভবনের তথ্য সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মিষ্টি নিয়ে রাজভবনে যান। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।