থমথমে পাত্রসায়রে বিজেপির বিক্ষোভ! শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রায় গুলিতে আহত ছাত্র-সহ ৩ জন
রবিবার সকালে থমথমে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র। সকালে ধৃত মণ্ডল সভাপতির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
রবিবার সকালে থমথমে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র। সকালে ধৃত মণ্ডল সভাপতির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। শনিবার বিকেলে এলাকায় তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর জনসংযোগ যাত্রা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৩ জন গুলিতে আহত হন। বিজেপির তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিযোগ করা হলেও, পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে শক্তি কমেছে তৃণমূলের। বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর হাতছাড়া হয়েছে তাদের। এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হারিয়ে যাওয়া জনসমর্থন ফেরাতে শুরু করেন জনসংযোগ যাত্রা। সেই যাত্রাকে ঘিরেই উত্তপ্ত বাঁকুড়ার পাত্রসায়র।
তৃণমূলের অভিযোগ, জনসংযোগযাত্রা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ির সামনে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে পুলিশ পাহারা দিয়ে এলাকায় এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর পুলিশই গুলি চালায়। গুলিতে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া-সহ তিনজন আহত হয়েছেন। যদিও গুলি চালনার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। পুলিশের দাবি, তারা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে, রবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি পুলিশ গুলি চালিয়েছে। আর টিউশন থেকে ফেরার সময় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে তাঁর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ করেছে বিজেপি। ৪ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।