রবীন্দ্রভারতীর পাঠভবনে ‘র্যাগিং’-এর শিকার ক্লাস থ্রি-র ছাত্র! লেখানো হল মুচলেকাও
সবে ক্লাস ফোর। এখনই নৃশংসতার পাঠ সেরে ফেলেছে পড়ুয়ারা! ক্লাস ফোরের ছাত্রদের হাতে নৃশংসভাবে প্রহৃত হল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র। বিশ্বভারতীর পাঠ ভবনেই ঘটে গেল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
বীরভূম, ৮ নভেম্বর : সবে ক্লাস ফোর। এখনই নৃশংসতার পাঠ সেরে ফেলেছে পড়ুয়ারা! ক্লাস ফোরের ছাত্রদের হাতে নৃশংসভাবে প্রহৃত হল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র। বিশ্বভারতীর পাঠ ভবনেই ঘটে গেল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তার থেকেও বড় কথা এমন সাংঘাতিক ঘটনার পরও নির্লিপ্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
নিগৃহীত ছাত্রের নাম আতিফ নিসওয়ান। অনেক আশা নিয়ে বিশ্বভারতীর পাঠভবনে তাকে ভর্তি করেছিল বাবা। রবীন্দ্র ভাবনায় ছেলের ভবিষ্যৎ গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন ধাক্কা খেল ছাত্রাবাসে আতিফের সঙ্গে অমানবিক নিগ্রহ হওয়ায়। রবীন্দ্রভারতীর এই পাঠভবনে আতিফকে দিনের পর দিন মারধর করা হয়েছে। তার থেকে মাত্র একবছরের বড় পড়ুয়াদের হাতেই 'র্যাগিং'-এর শিকার হয়েছে সে।
ছোট্ট এই পড়ুয়াকে এমনভাবেই মারধর করা হয়েছে, যে সারা শরীরে কালসিটে পড়ে গেছে। এখানেই শেষ হয়নি অত্যাচারের মাত্রা। এই পাঠভবনের শিক্ষকরা আবার আতিফকে দিয়ে মুচলেকাও লিখিয়ে নেন। কিন্তু কেন এমন নৃশংসতা, কেন এমন অমানবিকতা বিশ্বভারতীর পাঠভবনে? প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন আতিফের বাবা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অন্য অভিভাবকদের মনেও। বিশেষ করে তাঁদের ভাবাচ্ছে বিশ্বভারতীয় পাঠভবনে এমন নৃশংস ঘটনা।
তার ওপর এই নির্মম নৃশংসতার পরও শিক্ষকদের বিধান নিয়ে তাঁরা ভাবিত। তাই তো এই স্কুলে আর ছেলেকে পড়াতে চান না আতিফের বাবা। তাঁর অভিযোগ, উপাচার্য স্বপন দত্তের সঙ্গে দেখা করেও সুরাহা মেলেনি। এদিকে এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি আতিফ। তার ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন আতঙ্কিত বাবা-মা।