সিউড়ির পর কাটোয়া সংশোধনাগারেও বন্দি-সঙ্ঘর্ষ, উদ্ধার ২ মোবাইল
কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। তেমনই দুষ্কৃতীরা সংশোধনাগারে গেলেও সংশোধন হন না। সংশোধনাগারেও জারি রাখে দুষ্কৃর্ম। রাজ্যের জেলগুলিতে সেইমতো গোষ্ঠীবাজি অব্যাহত।
কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি : কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। তেমনই দুষ্কৃতীরা সংশোধনাগারে গেলেও সংশোধন হন না। সংশোধনাগারেও জারি রাখে দুষ্কৃর্ম। রাজ্যের জেলগুলিতে গোষ্ঠীবাজি অব্যাহত। সিউড়ি সংশোধনাগারের পর কাটোয়া উপ সংশোধনাগার। জেলের ভিতরে কয়েদিদের প্রবল মারামারি। সংঘর্ষে গুরুতর জখম দুই বন্দি। এরা আবার যে সে বন্দি নয়, একজন শাসকদলের কাউন্সিলর, অপরজন তারই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য।
জঙ্গল শেখ বনাম কুমার-হাসিবুল্লা। তারা জন বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে পরিচিত। এদিনই কুমার ও হাসিবুল্লাদের কাটোয়া উপ সংশোধনাগারে আনা হয়। তারপরই শুক্রবার রাতে জেলখানার ভিতরে সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে তারা। তুলকালাম কাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উপ সংশোধানাগের আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। আসেন মহকুমা শাসকও।
উপসংশোধনাগারের সেলে তল্লাশি চালিয়ে দু'টি মোবাইল উদ্ধার করেন এসিডিপিও। একটি ফোন মেলে জেলবন্দি তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের কাছ থেকে। এছাড়া আরও একটি মোবাইল উদ্ধার হয়। এর আগে সিউড়ি-র সংশোধনাগারে বন্দিদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। মারামারির সময় মাথায় ভারী জিনিসের আঘাতে মৃত্যু হয় প্রশন্ত বড়াল নামে এক বন্দির।
কাটোয়া উপসংশোধনাগারে সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কারা আধিকারিকের কাছে। দুই গোষ্ঠীকে আলাদা সংশোধনাগারে করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর থেকেই তাল ঠুকছিল দুই বন্দি। রাত নামতেই তারা সঙ্ঘর্ষে লিপ্ত হয়।