দিলীপ ঘোষের সভার আগেই অনুব্রত গড়ে ধুন্ধুমার! গুলিবিদ্ধ এক বিজেপি কর্মী
দিলীপ ঘোষের সভার আগে উত্তেজনা ছড়াল বীরভূম (birbhum) জুড়ে। এদিন দুপুরে সিউড়িতে সভা করেন দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। তার আগে কখনও ইলামবাজারা আবার কখনও শিমুলিয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। সূত্রের খবর এই সংঘর্ষে বোলপুরের শিমুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী।

সিউড়িতে দিলীপ ঘোষের সভা
এদিন দুপুরে সিউড়িতে দিলীপ ঘোষ সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন হিন্দুস মুসলমান সবাই তাদের কাছে সমান। কেননা প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সবকা বিকাশের ডেক দিয়েছেন। উজ্জ্বলা যোজনার সাহায্য পেয়েছন বীরভূমের গরিম মুসলিমরাও। তাই হিন্দু, মুসলিম তফাতের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি আরও বলেন, এদিনের বাধা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হবে। তৃণমূলকে বাংলা থেকে হঠিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বীরভূমের সবকটি আসন জেতানোর জন্য দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে ডাক দেন।

শিমুলিয়ায় বিজেপি কর্মীর ওপরে হামলা
সিউড়ির জেলা স্কুল মাঠে দিলীপ ঘোষের সভার আগে পদযাত্রা হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাতে যোগ দিতে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী বাইকে শিঙ্গি নিয়ে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর বাইক লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। এই যুবকের পাঁজরে গুলি লাগে। তাঁকে স্থানীয়রা নিয়ে যান সিয়ান হাসপাতালে।

জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ
এছাড়াও জায়গায় জায়গায় সিউড়িগামী বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোহ। খয়রাশোল শিমুলিয়ায় রাস্তার ওপর বিজেপি কর্মীদের বাস আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী বোঝাই বাস আটকানো হয় বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। অনেক জায়গাতেই বাধাদানকারীদের সঙ্গে সিউড়ি মুখী বিজেপির কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের গাড়ি ঘিরে বোমাবাজি করা হয়, গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির।
সাঁইথিয়ার ভ্রমরকল গ্রামে সিউড়ি যেতে বাধা দেওয়ার পরেই বিজেপি কর্মীরা তির ধনুক নিয়ে রাস্তায় বলে পড়েন। এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এই হামলার খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী বোমাবাজি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। গ্রামে ঢুকে তল্লাশি চালাও দেখা যায় পুলিশকে।

অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
যদিও এদিন বিজেপির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি এদিনের কোনও ঘটনার সঙ্গেই তৃণমূলের যোগ নেই। পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের আরও দাবি অভিযুক্তরা ধরা পড়লেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কালীঘাটের হিটলার শাসন ছড়ে চলে আসুন, আক্রমণ সায়ন্তনের,বিজেপির মহাপ্রস্থান পর্ব চলছে, পাল্টা সৌগতর