বিজেপির ডাকা বনধে শুনশান অর্জুন গড়! বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ
বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার ব্যারাকপুর বনধে শুনশান বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশ কিছু জায়গায় যেমন বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়, ঠিক তেমনই কিছু জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে জোর করে দোকানপাট বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায় রাস্তায় থাকা অটো ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন প্রায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সকাল থেকেই শুনশান এলাকা
রবিবার জগদ্দল এর ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বিজেপির ডাকে ১২ ঘন্টার বনধ চলছে ব্যারাকপুরে। সকাল থেকেই বনধ-এ প্রভাব পড়তে শুরু করে। স্কুল কলেজ বন্ধ। অন্যদিকে বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ সকাল থেকেই। এলাকার সবকটি জুটমিলে কাজ বন্ধ।

তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ
বিজেপির ডাকা বনধে যেসব এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তার মধ্যে রয়েছে ব্যারাকপুরের জাফরপুর। সকাল ১১ টা নাগাদ বিজেপি সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করতেই তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এই মারামারিতে জখম ১৫ জন। এঁদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এদিন সকালে টিটাগড়ের ব্রহ্মস্থানে প্রায় আধঘন্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। টিটাগড় থানার পুলিশ এসে পরে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে হঠিয়ে দেয়।
ব্যারাকপুরের সুভাষনগর কলোনিতে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ হয়। ব্যারাকপুর-বারাসত রোডে বিজেপির মিছিল চলার সময় তৃণমূলের তরফে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ব্যারাকপুরের ঘোষপাড়া রোডেও তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ হয়।

ব্যাহত ট্রেন চলাচল, বন্ধ ফেরি চলাচল
এই ১২ ঘণ্টার বনধ-এ রেলকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সকাল ছটা থেকে কাঁকিনাড়া স্টেশনে এক নম্বর লাইনে আপ ট্রেন আটকে রেল অবরোধ করেন
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ফলে সকাল থেকেই শিয়ালদা রানাঘাট মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে । পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এলাকার সবকটি ঘাটে ফেরি চলাচলও এদিন সকাল থেকে বন্ধ।
[আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান নরক, ভারতই একমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য স্বর্গ', হুঙ্কার বিজেপি নেতা নকভির]
[আরও পড়ুন: এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল, নেতৃত্ব দেবেন দলনেত্রী মমতা]