সিঁথি থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধ বিজেপি-পুলিশের মধ্যে, গ্রেফতার ১৫০জন
সিঁথি থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধ বিজেপি-পুলিশের মধ্যে, গ্রেফতার ১৫০জন
বিজেপির সিঁথি থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার উত্তর কলকাতার বাগবাজার চত্বর। পুলিশি ঘেরাটোপে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি দীনেশ পান্ডে সহ ১৫০ জন কর্মী গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার সিঁথি থানার পুলিশ লকাপে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে রাজকুমার সাউ নামে বছর ৫৪ র এক ব্যাক্তি। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এদিন সিঁথি থানা ঘেরাও এর কর্মসূচি নেওয়া হয় বিজেপির তরফে। গতকালও মৃত্যুর খবর পেয়ে মৃতের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন এরপর চলে থানা ভাঙচুর ও পুলিশকর্মীদের মারধর করে। আজ পুনরায় থানা ঘেরাওয়ে র কর্মসূচি নিলে কালকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন মিছিল আটকাতে বাগবাজার মোরে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মজুদ করে রাখা হয়। সেখানেই পুলিশ মিছিল আটকালে পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গন্ডগোল বাঁধে। হস্তা হস্তী শুরু হয়। পুলিশের অভিযোগ, পুলিশের গায়ে লঙ্কার গুঁড়ো জলের মধ্যে পায়েল করে গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি কর্মীদের।
উল্লেখ্য, চোরাই মাল বিক্রির অভিযোগে সোমবার এক প্রৌঢ়কে থানার লোকাপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল সিঁথি থানার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় চোরাই মাল বিক্রির অভিযোগে রাজকুমার সাউ (৫৪) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, চিৎপুর থানার পাইকপাড়ার বাসিন্দা রাজকুমার চোরাই লোহা-লক্করের কারবার করতেন। একটি অভিযোগের সূত্রে তাঁকে জেরার জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল। চুরিতে যুক্ত সন্দেহে এক অন্তঃসত্ত্বাকেও থানায় ডাকা হয়। জেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। পরে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। তাঁকে থানার লকআপে কোনও রকম মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সিঁথি থানার আধিকারিক।
তবে, জেরার সময়ে পুলিশের লোকাপে পিটিয়েই ওই প্রৌঢ়কে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে প্রৌঢ়ার পরিবারের দাবি। পরিবারের বক্তব্য, বাড়ি থেকে সুস্থ অবস্থাতেই বেরিয়েছিলেন মানুষটি। থানাতেও ঢুকেছিলেন সুস্থ শরীরে। কিন্তু মৃত অবস্থায় তাঁকে বের করা হয়েছে।
এদিকে এখবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় থানা-তল্লাটে। উত্তেজিত জনতা থানা ভাঙচুর চালায় বলেও জানা গিয়েছে। শতাধিক মানুষ থানা ঘিরে রয়েছেন। থানার গেটে তালা দিয়ে পুলিশকর্মীরা ভিতরে আটকে। বিক্ষোভকারীরা তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন।
অবশ্য বিজেপি দাবি করেছে, রাজকুমার তাদের লোক। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই প্রতিহিংসার জেরেই মিথ্যে মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
'নীতিহীনতাই হারিয়ে দিল', দিল্লি ভোটে কংগ্রেস নিয়ে বিস্ফোরক প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা