মন্দারমণিতে মত্ত পর্যটকদের তাণ্ডব, আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার,হোটেল ম্যানেজার, ধৃত ৭
পূর্ব মেদিনীপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর : আবার খবরের শিরোনামে সেই মন্দারমণি। ১০ দিন আগে এই মন্দারমণির সমুদ্রই কেড়ে নিয়েছিল প্রাণ। উত্তাল সমুদ্রে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলেন ৩ যুবক। এবার মত্ত অবস্থায় সেই সমুদ্রে নামতে বাধা পেয়েই রণচণ্ডী মুর্তি ধারণ করল উন্মত্ত পর্যটকরা। পর্যটকদের হাতে আক্রান্ত হলেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এমনকী তাদের রোষানল থেকে বাদ গেলেন না হোটেল ম্যানেজারও।
পুলিশ
এই
ঘটনায়
গ্রেফতার
করেছে
দুই
মহিলা-সহ
সাত
পর্যটককে।
ধৃতদের
মধ্যে
রয়েছে
একাধিক
কলেজ
পড়ুয়াও।
কিছুদিন
ধরেই
একটার
পর
একটা
ঘটনায়
অভিযুক্ত
হয়েছে
মন্দারমণি।
কখনও
সমুদ্রে
মত্ত
অবস্থায়
নেমে
তলিয়ে
গিয়েছেন
পর্যটকরা।
কখনও
সী-বিচে
রুদ্ধশ্বাস
গাড়ির
রেষারেষিতে
বিসর্জন
দিয়েছেন
প্রাণ।
বারবার
একই
ঘটনা
ঘটায়
সমালোচনার
মুখে
পড়েছিল
পুলিশ-প্রশাসনও।
তাই
১৭
সেপ্টেম্বরের
দুর্ঘটনার
পর
সতর্ক
পূর্ব
মেদিনীপুর
জেলা
পুলিশ।
কড়
প্রহরা,
ব্যারিকেড
করা
হয়েছে
মন্দারমণিতে।
সমুদ্র
উত্তাল
থাকলে
কিংবা
পর্যটকরা
মত্ত
অবস্থায়
থাকলে
নিষেধ
করা
হচ্ছে
সমুদ্রে
নামতে।
সোমবার মত্ত পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বাধা দিয়েছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তখনই প্রভাবশালী ভাব দেখিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উপর হামলা চালায় পর্যটকরা। তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সমুদ্র-সৈকতে তাণ্ডব চালিয়েও ক্ষান্ত হয়নি তারা। হোটেলে ফিরেও তাণ্ডব শুরু করে পর্যটকরা। যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন হোটেল ম্যানেজারও। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পর্যটকদের সেই তাণ্ডবের ছবি ধরা পড়ে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে।
সিভিক ভলেন্টিয়ার, হোটেল মালিকের অভিযোগ এবং সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় সাত পর্যটককে। ধৃতের মধ্যে রয়েছে দুই মহিলাও। দু'জন কলেজ পড়ুয়াও রয়েছে গ্রেফতারির তালিকায়। ধৃতেরা সবাই কলকাতার নিউ আলিপুরের বাসিন্দা। একই পরিবারের সদস্য চারজন। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পেশ করা হয়।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সমুদ্রস্নানে নেমে তলিয়ে গিয়েছিলেন তিনজন পর্যটক। একজেনর মৃত্যু হয়। অপর দু'জন কোনওরকমে প্রাণে বাঁচেন। গত ২১ আগস্ট সমুদ্র সৈকতে বেপরোয়া গাড়ি রেষে নেমে দুর্ঘটনার বলি হন তিন যুবক।