মতুয়া সমাজে আমূল বদলে গিয়েছে চিত্রটা! হরিনামের সঙ্গে এবার ধ্বনি উঠছে হর হর মোদীও
দেশ ছাড়া হওয়ার আশঙ্কা কুরে কুরে খাচ্ছে তাঁদের। তাই ঠাকুরবাড়ির পাশের আবহটা আচমকাই বদলে গিয়েছে। হঠাৎ মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে মোদী-শাহের নামে জয়ধ্বনি উঠছে।
দেশ ছাড়া হওয়ার আশঙ্কা কুরে কুরে খাচ্ছে তাঁদের। তাই ঠাকুরবাড়ির পাশের আবহটা আচমকাই বদলে গিয়েছে। হঠাৎ মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে মোদী-শাহের নামে জয়ধ্বনি উঠছে। হরিনামের সঙ্গেই মতুয়া সম্প্রদায় এবার স্লোগান তুলছেন হর হর মোদী! মতুয়া সমাজ মনে করছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তাঁদের কাছে বড়দিনের উপহার!
ভারতীয় নাগরিক! পরিচয়ের আশায়
পুরনো সেই দিনের কথা মনে করে মতুয়া সমাজের অধিবাসীরা বলে, সেই কবে ওপার থেকে এসেছিলাম এপার বাংলায়। এপারে আমাদের সব ছিল। ছিল না শুধু পরিচয়। আজও নেই। এবার আমরা সেই বহু আকাঙ্খিত কাগজটা পাবো, যা দেখিয়ে বলতে পারব- এই দেখো আমরা ভারতীয় নাগরিক!
বদলে গিয়েছে ঠাকুরবাড়ির ছবি
মতুয়া সমাজ হঠাৎ ঘুরে গিয়েছেন। তাঁরা এখন বলছেন, অনেক তো দেখলাম কংগ্রেস, সিপিএম, তারপর তৃণমূলকে। কেউ আমাদের দাবি পূরণ করতে পারেনি। এবার বিজেপি তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে সেই স্বীকৃতি। বদলে গিয়েছে ঠাকুরবাড়ির ছবি। মমতার নাম ভুলে ঠাকুরবাড়ির সবাই মোদী মোদী করতে শুরু করেছেন।
নাগরিক আইনে ফের এককাট্টা মতুয়ারা
বড়মা থাকাকালীন মতুয়ারা ছিলেন এককাট্টা। কিন্তু বড়মার চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভাজন রেখা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মতুয়া সমাজে। লোকসভায় দু-ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন মতুয়ারা। কেন্দ্র নাগরিক সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করতেই ফের এককাট্টা মতুয়ারা।
সব পেয়েছেন, একটা কাগজ ছাড়া
১৯৭১ সালের পর এদেশে এসে ভোটাধিকার, রেশন কা্র্ড সবই পেয়েছেন মতুয়ারা। তবু ভিটেমাটি হারা হওয়ার আশঙ্কা যায়নি তাঁদের। এতদিনে সেই শঙ্কা ঘুচতে চলেছে। এবার মতুয়ারা বিজেপিকে ঢালাও ভোট দিয়েছেন, তারপর এই নাগরিকত্ব আইন বিজেপির তরফে উপহার! তবে হাত কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্য স্বস্তি নেই।
সাভারকার বিতর্কের পর শিবসেনা-কংগ্রেস জোট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মায়াবতী