চেষ্টা হয় অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার, প্রাণের ভয়েই গুলি চালায় বাহিনী: ব্যাখ্যা দিল CRPF
আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোচবিহারের জোড় পাটকিতে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে কমিশনে রিপোর্ট জমা দিল বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। দাবি করা হয়েছে সিআইএসএফের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভিড়ের
আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোচবিহারের জোড় পাটকিতে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে কমিশনে রিপোর্ট জমা দিল বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। দাবি করা হয়েছেসিআইএসএফের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভিড়ের মধ্যে মিশে ছিল দুষ্কৃতীরা।
তাঁদের হাত থেকে বাঁচতেই গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ। এমনটাই ব্যাখ্যায় জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোচবিহারের জোড় পাটকিতে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে কমিশনে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। প্রাথমিক রিপোর্ট জকা পড়লেও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পড়বে বলে খবর।
কেন গুলি চালাতে হল? ব্যাখ্যা দিল সিআইএফএফ
এই ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এই অবস্থায় শীতলকুচিতে কেন গুলি চালাতে হল সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল সিআরপিএফ। বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে যে, ওই বুথে বারবার অবৈধ জমায়েত হচ্ছিল। একাধিকবার বাহিনীর তরফে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয় বলে দাবি। কিন্তু কেউ কোনও কথা শোনেনি বলে অভিযোগ। এমনকি জমায়েত হটাতে কয়েক রাউন্ড শূন্যে গুলি চালানো হয়। আতংকে বুথের জমায়েত মুহূর্তে খালি হয়ে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ভিড় জমে যায়। বুথের সামনেই নানাভাবে উত্তেজনার অবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বাহিনীর দাবি, বারবার বলা হলেও বুথে ভিড় বাড়তেই থাকে। দাবি করা হয়েছে সিআইএসএফের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভিড়ের মধ্যে মিশে ছিল দুষ্কৃতীরা। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতেই গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ ।
মাথাভাঙায় গুলি
চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত কোচবিহার। শীতলকুচির দুই জায়গায় পর পর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনায় সিআইএসএফের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ জনই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলে দাবি। বিনা প্ররোচনাতেই গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ জন
রিপোর্ট তলব কমিশনের
কোচবিহারে সিআইএসফই যে গুলি চালিয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুনীল জৈনও সিইওকে ফোন করে ঘটনার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কোচবিহারে। পর পর ২ জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোটদানে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আত্মরক্ষায় গুলি
কোচবিহারের ঘটনায় আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ জওয়ানরা। এমনই দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক রিপোর্ট পাঠিয়েছে কমিশনে। সিআিএসএফের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে গ্রামে গিয়েছিল কিউআরটি টিম। সেখান থেকে ভোটারদের নিয়ে বুথে আসার পর তাঁদের ঘিরে ধরা হয়। ভিড়ের মধ্যে মিশে দুষ্কৃতীরা সিআইএসএফের জওয়ানদের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই আত্মরক্ষায় তাঁরা গুলি চালায়।
তীব্র নিন্দা মমতার
কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটেও এতো মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেন মমতা। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে কমিশনের কাছে জবাব তলব করেছেন। তৃণমূলের দাবি কমিশনকে এবার শো কজ করছে বাংলার মানুষ। জবাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।এই মৃত্যুর দায় কার। যদি প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ঘটনার জন্য মমতাকেই দায়ী করেছেন।