করোনার আবহে বিপাকে সার্কাস শিল্পীরা
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া পীর গোরাচাঁদ মেলা আটকে পড়ে আছে প্রায় ৪৫ জনের মতো কলাকৌশলী শিল্পী ও শ্রমিক। হাড়োয়া থানার সোনাপুকুর শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়োয়া ব্রিজ সংলগ্ন সার্কাস ময়দান এলাকায় গত ১২ ই ফাল্গুন পীর গোরাচাঁদ মেলা শুরু হয়েছিল এই মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য এসেছিল এম্পয়ার সার্কাস ।এই সার্কাস চলার কথা ছিল প্রায় এক মাস চলাকালীনই শুরু হয় করোনা আতঙ্কের জেরে লকডাউন আটকে পড়ে প্রায় 45 জন কলাকৌশলী শিল্পী ও শ্রমিক।
এদের মধ্যে বেশ কিছু মহিলারাও আছেন তারাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন খোলা মাঠে সার্কাস মালিক তাদের কিছু খাবারের পয়সা দিয়ে চলে গেলেও আটকে যায় এই ৪৫ জন এই কলাকৌশলী শিল্পীদের বাড়ি উত্তর প্রদেশ , বিহার ,ঝাড়খন্ড ,বনগাঁ , কাটোয়া বিভিন্নস্থানে তারা কেউই লকডাউন এর জেরে বাড়ি ফিরতে পারছে না এদিকে টাকা পয়সা খাওয়ার সবিশেষ এলাকার পঞ্চায়েত থেকে তাদের কিছু খাবারের ব্যবস্থা করলেও তা পর্যাপ্ত নয় অনাহারে মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে রিতিমত অনাহারে দিন কাটছে পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের তাদের খাবার জুটছনা ।
শিল্পীদের তাদের দাবি অবিলম্বে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যাবস্থা করুন প্রশাসন এবং কিছু খাবারের ব্যবস্থা করলে ভালো হয় এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ফরিদ জমাদার জানিয়েছেন আমরা কিছু খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলাম জানালে আরও ব্যবস্থা নেব আমরা সবাই ওনাদের পাশেই থাকবো নির্দিষ্ট সার্কাস আসার কথা থাকলেও স্থানীয় কিছু সমস্যার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেটা দেরিতে আসে তারপর কোনরকমে শুরু হয় সার্কাস বিনোদন দেখানো কিন্তু করোনা আতঙ্কে ঠিকঠাক ভাবে ব্যবসা করতে পারেননি সার্কাস কর্তৃপক্ষ চলে লসের রান তারপর আবার হঠাৎই লকডাউন আর তার জেরে আটকে পড়েছে গোটা সার্কাস সার্কাসের জীবজন্তু থেকে শুরু করে পাখি সার্কাসের শিল্পীরা রীতিমতো অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন সার্কাস মালিকের মাথায় হাত প্রশাসনের কাছে বাড়ি ফেরার আর্জি।