গরু পাচারে এনামুলকে জেরা করবে সিআইডি! তিন ভাগ্নের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
গরু পাচার মামলায় নয়া মোড়! আরব আমিরশাহিতে পালাতে পারেন এনামুল হকের তিন ভাগ্নে। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। আর সেদিকে তাকিয়ে আদালতে আবেদন সিআইডি-র। গরু পাচার মামলাতে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
গরু পাচার মামলায় নয়া মোড়! আরব আমিরশাহিতে পালাতে পারেন এনামুল হকের তিন ভাগ্নে। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। আর সেদিকে তাকিয়ে আদালতে আবেদন সিআইডি-র। গরু পাচার মামলাতে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
এই মামলাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সিবিআইয়ের পাশে গরু এবং কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিও। ইতিধ্যে একাধিক জায়গাতে হানা দিয়েছে সিআইডি। আর সেই মামলাতেই নয়া মোড়।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
গরু পাচার-কান্ডের তদন্তে নেমে একাধিক জায়গাতে হানা দিয়েছেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এনামুল যোগ রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি অফিস, দফতর এবং দোকানেও হানা দিয়েছে গোয়েন্দারা। আর সেখান থেকে সিআইডির আশঙ্কা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে এনামুলের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবির ও মেহেদি হাসান। একেবারে আরব আমির শাহিতে পালাতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর এই মর্মে আবেদনের ভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আদালত। খুব শীঘ্রই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
গা ঢাকা দিয়েছে তিনজনই
ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার করা হয়েছে এনামুলকে। বাংলায় গরু পাচারের মূল মাথা ইনিই। এমনটাই মত তদন্তকারীদের। তবে এনামুলের গ্রেফতারের পর গোটা ব্যবসা ওই তিন ভাগ্নেই দেখছিলেন বলে খবর। কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই এলাকা ছাড়ে ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবির ও মেহেদি হাসান। একাধিকবার তলব করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকি জেরার মুখোমুখিও হয়নি। ফলে তদন্তকারীরা মনে করছেন, সম্ভবত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তিনজনই। সেটাই এখন ট্র্যাক করার চেষ্টা তদন্তকারী সংস্থা করছে বলেই খবর।
এনামুলকে জেরা করতে পারে সিআইডি
অন্যদিকে গিওরু পাচার কান্ডের মূল চক্রী এনামুল হককে জেরা করতে পারে সিআইডি। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে জেরা করেই বেশ কিছু তথ্য জানতে মরিয়া সিআইডি। আর ইতিমধ্যে আদালতে আবেদনও করেছে তদন্তকারী সংস্থা। আদালত ইতিমধ্যে এই আবেদন মঞ্জুর করেছে। সামনের সপ্তাহে সিআইডি-দিল্লি গিয়ে তাঁকে জেরা করবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনে হলে নিজেদের হেফাজতেও এনামুলকে নিতে পারে সিআইডি। গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গাতে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। বেশ কিছু নথি-সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। সেই সমস্ত তিথ্যের ভিত্তিতে জেরা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।