চাপ বাড়ল মোর্চা সুপ্রিমোর, এবার কী চাল মমতার প্রশাসনের
মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্যস্ত তখনই এই হামলা হয় ভানুভবনে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দার্জিলিং সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারই জেরে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা।
মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-সহ আটজন গোর্খা জনমু্ক্তি মোর্চা নেতার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল সিআইডি। এই পরোয়ানায় নাম রয়েছে বিমল গুরুংয়ের স্ত্রী আশা গুরুং, মোর্চা সম্পাদক রোশন গিরি ও যুব মোর্চা সভাপতি প্রকাশ গুরুংয়েরও। দার্জিলিং সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
৮ জুন ভানুভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী যখন পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্যস্ত তখনই এই হামলা হয় ভানুভবনে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দার্জিলিং সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় বিমল গুরুং-সহ মোর্চা সমর্থকদের নামে। সেই মামলাতেই এদিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় মোর্চার চার গুরুত্বপূর্ণ নেতা-সহ অমৃত ওনজন, ডি কে প্রধান, তিলক রোকা ও অশোক ছেত্রীর নামে।
বর্তমান পাহাড় থেকে একপ্রকার বিতাড়িত বিমল গুরুং। দার্জিলিংয়ে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত মোর্চা নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও যুক্ত হয়েছে। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন গুরুং। এরই মধ্যে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। ফলে আরও বিপাকে পড়লেন তিনি।
নবান্নে বৈঠকের পর পাহাড় সমস্যার সমাধান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিমল গুরুংয়ের জন্যই পাহাড় এখনও অশান্ত হয়ে রয়েছে। বনধ তোলা সম্ভব হয়নি পাহাড়ে। পাহাড়ে না থেকেও তিনি কলকাঠি নাড়ছেন দার্জিলিং অশান্ত করতে। এই অবস্থায় তাঁকে প্যাঁচে ফেলতেই গ্র্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ে এলেই গ্রেফতার হবেন গুরুং। কিংবা এই গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়েও বিমল গুরুংকে ধরতে অভিযান চালানো হতে পারে।