পুরভোটের আগে বড় ধাক্কা, কৃষ্ণনগরে তৃণমূল বিধায়ক খুনে বিজেপি সাংসদকে জেরা সিআইডির
পুরভোটের আগে বড় ধাক্কা, কৃষ্ণনগরে তৃণমূল বিধায়ক খুনে বিজেপি সাংসদকে জেরা সিআইডির
কৃষ্ণনগরে বিধায়ক খুনে নাম জড়াল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। দফায় দফায় তাঁকে জেরা করেছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। শনিবার ১২টা ১৫ মিনিটে ভবানী ভবনে যান তিনি। সূত্রের খবর তদন্তে সিআইডিকে সবরকমের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
কৃষ্ণনগরের বিধায়ক খুনে জেরা বিজেপি সাংসদকে
২০১৯ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি স্বরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এফআইআরে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়। তার পর থেকে একাধিকবার সিআইডির তদন্তকারীরা তাঁকে জেরা করে। শনিবার আবারও তাঁকে ডাকা হয়েছিল ভবানীভবনে। সেখানে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছন তিনি। সিআইডির তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক খুন
২০১৮ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো উদ্বোধনে গিয়ে খুন হয়েছিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুব কাছ থেকে আততায়ীরা তাঁকে গুলি করেছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তৃণমূল বিধায়ককে। ঘটনাস্থলের কাছেই উদ্ধার হয়েছিল খুনের অস্ত্র। এই ঘটনায় বিজেপির হাত আছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি যোগ
তৃণমূল বিধায়ক খুনে নাম জড়িয়েছিল তৎকালীন নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকার। এফআইআরে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় অভিজিৎ পুণ্ডারি, নির্মল ঘোষ, সঞ্জীব মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যদিও এঁদের বিজেপি কর্মী বলে মানতে নারাজ দলীয় নেতৃত্ব। এদিকে সিআইডি তদন্ত শুরু করার পর একাধিকবার জগন্নাথ সরকারকে ডেকে জেরা করা হয়। এদিকে আগে থেকে আদালতের রক্ষাকবচ নিয়ে রেখেছেন বিজেপি বিধায়ক। আদালতের নির্দেশ মত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। পুরভোটের মুখে বিজেপি সাংসদকে সিআইডির জেরায় দলের চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।