ঋতব্রতর বান্ধবীকে ম্যারাথন জেরা ভবানীভবনে, ধর্ষণকাণ্ডে চাপ বাড়ল সাংসদের
বুধবার ভবানীভবনে শুধু দুর্বা সেনকেই এদিন তলব করা হয়নি, তলব করা হয়েছিল সিপিএের বহিষ্কৃত সাংসদ অভিযুক্ত ঋতব্রত-র গাড়ির চালককে।
বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বালুরঘাটের তরুণীকে দিল্লির ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে সহবাসের ঘটনায় এবার অভিযুক্ত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বান্ধবী দুর্বা সেনকে জেরা করল সিআইডি। ভবানীভবনে ডেকে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। ঋতব্রত নিজে সিআইডির তলবের পর টালবাহানা করলেও দুর্বা সেন পিছপা হলেন না সিআইডির মুখোমুখি হতে।
বুধবার ভবানীভবনে শুধু দুর্বা সেনকেই এদিন তলব করা হয়নি, তলব করা হয়েছিল সিপিএের বহিষ্কৃত সাংসদ অভিযুক্ত ঋতব্রত-র গাড়ির চালককে। দুর্বা সেনকে জেরা করার সময় তাঁকে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়। দুর্বা সেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেরা করা হয় ঋতব্রতর গাড়ির চালক রবীনকে।
এদিনই ঋতব্রত-কাণ্ডে মুকুল ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অর্চনা মজুমদারকে জেরার কথা জানায় সিআইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডির আধিকারিকরা। অর্চনা মজুমদার নিজে সিআইডিকে ইমেল করে জবাব দিয়েছেন- তিনি বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে উপস্থিত থাকবেন। তিনি জেরার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে অর্চনাদেবীকে জেরার আগে ঋতব্রতর বান্ধবী দুর্বা সেনকে জেরা করল সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, অভিযোগকারী নম্রতা দত্তকে তিনি ঋতব্রতর হয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনিই বারবার চাপ দেন কেস তুলে নিতে। অন্যথায় লোক পাঠিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। ঋতব্রতর বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ করেন নম্রতা। সেইসঙ্গে ঋতব্রতর বান্ধবী দুর্বা সেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেন।
বালুরঘাট থানায় নম্রতা ঋতব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তারপরই সিআইডিও তৎপর হয় সাংসদ ঋতব্রত-র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগের তদন্তে। সিআইডি দুবার অভিযুক্ত সাংসদকে নোটিশ পাঠায়। কিন্তু দুবারই সিআইডি হাজিরা এড়িয়ে গিয়ে তিনি ১৫ দিনের সময় চান। সেইসঙ্গে মুকুল রায়কে বাঁচানোর জন্য অভিযোগ তুলে নিতে মধ্যস্থতা করার অভিযোগে মুকুল ঘনিষ্ঠ অর্চনা মজুমজদারকেও সিআইডি তলব করে।
কিন্তু ঋতব্রতর বান্ধবী দুর্বা সেনের নাম আচমকাই এই ঘটনা থেকে হারিয়ে যায়। প্রথম থেকে তিনিই ঋতব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে পুরো বিষয়টি দেখছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়েরের পর দুর্বাদেবী নম্রতার বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রমেই দুর্বাদেবী আড়ালে চলে যান। এদিন দুর্বাদেবীকে হঠাৎই ভবানীভবনে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তাঁর নাম প্রকাশ্যে চলে এল।