বিধায়ক নন, টার্গেট ছিলেন সরফুদ্দিন! জয়নগর শ্যুটআউট-কাণ্ডে সিআইডি জালে ১১
জয়নগরে বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে শুট-আউটের ঘটনায় তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই শুট-আউটের টার্গেট ছিলেন সরফুদ্দিন, বিধাক বিশ্বনাথ দাস নন।
জয়নগরে বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে শুট-আউটের ঘটনায় তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই শুট-আউটের টার্গেট ছিলেন সরফুদ্দিন, বিধাক বিশ্বনাথ দাস নন। এখন পর্যন্ত ১১ হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাদেরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই সিআইডি বৃহস্পতিবার রাতেই চারজনকে আটক করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জয়নগরে ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্পের সামনে জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
ঘটনার সময়ে বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস গাড়িতে ছিলেন না। তার আগেই নেমে যান তিনি। এরপর পেট্রোল পাম্পে গাড়ি ঢুকতেই মুহুর্মুহু গুলি বৃষ্টি হয়, চলে বোমবাজিও। এই ঘটনায় নিহত হন তৃণমূল নেতা সরফুদ্দিন খান, গাড়ি চালক সেলিম খান ও এক স্থানীয় ব্যক্তি। ঘটনার সময় গাড়িতে না থাকায় রক্ষা পান বিধায়ক। বিধায়ক যে নেই গাড়িতে তা জানতে হামলাকারীরা।
রাজ্য প্রশাসন এই ঘটনার তদন্তভার রাতেই সিআইডির হাতে তুলে দেয়। পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শুরু হয় তদন্ত। ফুটেজের সূত্র ধরেই চার দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের আটক করে শুরু হয় জেরা। অভিযোগ, পুর্ব পরিকল্পিত এই হামলা।
এই হামলার পিছনে কারা, কী তাদের উদ্দেশ্য, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই হামলার পিছনে মূল মাথা কে, তা সর্বাগ্রে চিহ্নিত করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। স্থানী তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনায় সিপিএম ও এসইউসিআইয়ের দিকে আঙুল তুলেছে। তা অস্বীকার করেছে দুই দলই। তাদের দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।