সাত ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিআইডির
ভুয়ো চিকিৎসক মামলায় বিধাননগর মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। সোমবার ৮৯ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে নরেন পাণ্ডে, অজয় তিওয়ারিসহ আপাতত সাতজনের নাম রয়েছে।
ভুয়ো চিকিৎসক মামলায় বিধাননগর মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। সোমবার ৮৯ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে নরেন পাণ্ডে, অজয় তিওয়ারিসহ আপাতত সাতজন ভুয়ো চিকিৎসকের নাম রয়েছে।
ভুয়ো চিকিৎসার অভিযোগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মোট দুটি মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে রমেশ চন্দ্র বৈদ্য, বুবাই পাল, সুপ্রকাশ পাণ্ডে, নরেন পাণ্ডে, অজয় তিওয়ারি, রমাশঙ্কর সিং ও দিব্যেন্দু চক্রবর্তী নামে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ধৃতরা প্রত্যেকেই বর্তমানে জেল হেপাজতে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫ ও ১২০-বি ও বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাক্টের ২৯ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ভুয়ো চিকিৎসকের জাল ক্রমশ লম্বা হতেই সিআইডির তরফে জুন মাসে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। যার মাথায় রাখা হয় সিআইডির ডিআইজি (অপারেশন)কে।
সিআইডির হাতে ধৃত ভুয়ো ডিগ্রিধারী চিকিৎসক অজয় তিওয়ারি প্রথমে বিমান চালকের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তার পরে সাত বছর কলকাতার হোমিওপ্যাথি কলেজে পড়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৭ অগস্ট ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে আলিপুরের কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
টাকা দিয়ে কিনেছিলাম এমডি ডিগ্রি", সিআইডির জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন অপর ভুয়ো চিকিৎসক নরেন পাণ্ডে। তিনি জানিয়েছিলেন, বেলভিউতে কাজ পেতে এমডি ডিগ্রি লাগে। ১৯৯৭ সালে ইউনানি কাউন্সিলের এক পিওনকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ঘুষ দিয়ে ওই ডিগ্রি হাত করেন নরেন। এই ডিগ্রির পেশেন্ট করেই বেলভিউ হাসপাতালে ২০১৪ থেকে চিকিৎসা করেন নরেন পাণ্ডে।
রাজ্য আইএমএ-র হিসেব অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে পাঁচশো 'ভুয়ো' চিকিৎসক রয়েছে। কাউন্সিলের তরফে সেই তালিকা সিআইডি-র সদর দফতর ভবানী ভবনে পাঠানো হয়। সংস্থার তরফে তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধাননগর পূর্ব এবং দক্ষিণ থানায়।