মণীশ শুক্লা খুনে সিআইডি তদন্তে নয়া মোড়! তৃণমূলের ২ 'প্রশাসনিক কর্তা'কে জিজ্ঞাসাবাদ
মণীশ শুক্লা খুনে জোরদার তদন্ত সিআইডির! তলবের জেরে তৃণমূলের ২ 'প্রশাসনিক কর্তা'র হাজিরা
বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা (manish shukla) খুনে ব্যারাকপুরের এসবি অফিসে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের (trinamool congress) ২ প্রশাসনিক আধিকারিক। এর আগে দুজনকে তলব করেছিল সিআইডি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মণীশ শুক্লা খুনে এফআইআর-এ এই দুই তৃণমূল নেতার নাম ছিল।
৪ অক্টোবর মণীশ শুক্লা খুন
চার অক্টোবর টিটাগড় থানার খুব কাছেই বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে খুন করা হয়েছিল বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। দুই বাইকে আসা দুষ্কৃতীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে খুন করে এবং পালিয়ে যায়। খুনের ঘটনার পর থেকেই এর পিছনে তৃণমূল জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি।
মণীশ খুনে বিজেপির অভিযোগ
মণীশ খুনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর অভিযোগ খুনের কথা সরাসরি জানতেন ব্যারাকপুরে তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত এবং পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এব্যাপারে শীলভদ্র দত্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও নির্মল ঘোষ পাল্টা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
মণীশের বাবার এফআইআর-এ তৃণমূল নেতাদের নাম
ছেলের খুনের দুদিনের মধ্যেই সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনি শুক্লা। সেই সাতজনের মধ্যে নাম ছিল টিটাগড়ের পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী এবং ব্যারাকপুরের প্রশাসক উত্তম দাসের। টিটাগট থানায় করা লিখিত অভিযোগে চন্দ্রমনি শুক্লা জানান, এই দুজনই মাস্টার মাইন্ড। এই দুজন, এলাকার মহম্মদ খুররম, রঞ্জিত পাল, বাঁটুল, আরমান মণ্ডল, ভোলা প্রসাদদের দিয়ে খুন সংগঠিত করেছে। এছাড়াও এলাকায় দুই তৃণমূল নেতা রাজেন্দ্র যাদব এবং নাজির খান এর পিছনে রয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, এই এফআইআর করা হয়েছে, বিজেপির পরামর্শেই।
বিহারের জেলে বসেই মণীশ খুনের সুপারি
প্রাথমিক তদন্তে সিআইডির অনুমান বিহারের জেলে বসেই মণীশ খুনের সুপারি দিয়েছিল সুবোধ সিং। বিহারে গেলেও আপাতত খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সিআইডিকে।
সিআইডির সামনে হাজিরা ২ তৃণমূল নেতার
সিআইডির তলবের জেরে এদিনই ব্যারাকপুরের এসবি অফিসে হাজিরা দিয়েছেন এই ২ তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুনের দিন এবং খুনের সময় তাঁরা কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি খুনের নেপথ্যে আদৌ তাঁরা জড়িত কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর আগে এই দুই তৃণমূল নেতাই খুনের সঙ্গে তাঁদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুরো তদন্তই তদারক করা হচ্ছে নবান্ন থেকে। তদন্তের অগ্রগতির প্রতিটি ধাপ জানাতে হচ্ছে সেখানে।
মাথাপিছু জিডিপি নিয়ে তরজা জারি! কেন্দ্রের পাল্টা জবাব রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে