হাতে না পেয়ে ভাতে মারার চেষ্টা গুরুংকে! মোর্চার কোষাধ্যক্ষ সিআইডির জালে
বিমল গুরুংয়ের অডি বার্তা আসার পরই তাঁর ঘনিষ্ঠদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দার্জিলিং পুলিশ তিনদিন আগেই দুজন গুরুং সহযোগীকে গ্রেফতার করে পাহাড়ের গোপন আস্তানা থেকে। তাঁদের জেরা করেই গোয়েন্দারা জা
মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের ঘনিষ্ঠ নেতাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করলেন গোয়েন্দারা। বুধবার বিকেলের দিল্লির সফদরজং থেকে মনোজ শঙ্কর নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও ফের একবার পালিয়ে যান রোশন গিরি। ধৃত মনোজ শঙ্করের বিরুদ্ধে মোর্চা সুপ্রিমোকে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ ছিল। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি মনোজ শঙ্কর। তিনি মোর্চার অর্থ তহবিলের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হওয়ার পর এই ব্যক্তিই তাঁকে অর্থ জোগান দিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে শান্ত পাহাড়কে বাইরে থেকেও অশান্ত করায় মদত জুগিয়ে যেতে পেরেছেন গুরুং।
বিমল গুরুংয়ের অডি বার্তা আসার পরই তাঁর ঘনিষ্ঠদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দার্জিলিং পুলিশ তিনদিন আগেই দুজন গুরুং সহযোগীকে গ্রেফতার করে পাহাড়ের গোপন আস্তানা থেকে। তাঁদের জেরা করেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন মনোজ শঙ্করের কথা। রোশন গিরির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে, তিনিই মাধ্যম হিসেবে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন, একথাও জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
সেইমতোই গোয়েন্দারা দার্জিলিংকে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলেন। নজরদারি জোরদার করা হয় সিকিম-নেপাল সীমান্তেও। গোয়েন্দাদের একটি দল বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে মনোজ শঙ্করের যোগ জানতে পেরে পাড়ি দেয় দিল্লিতে। সেখানে গিয়ে মনোজ শঙ্করকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। এদিনই রোশন গিরির সঙ্গে বৈঠক করছিলেন মনোজ। তখনই হানা দেয় সিআইডি। কিন্তু চতুর রোশন গিরি ফের হাতছাড়া হয়ে যায়। বিমল গুরুংকে টাকা পাঠাতে গিয়ে সিআইডি জালে পড়ে যান মনোজ শঙ্কর।