ছেলের খুনের বদলা চাই! এই মহিলাও যাচ্ছেন ব্রিগেডে
একদিন বাদেই সিপিআইএম-এর ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছেন দূরের কর্মী-সমর্থকরা। ব্রিগেডের জন্য অভিনব কায়দায় প্রচারও চালাচ্ছে সিপিআইএম। এরই মধ্যে মাওবাদী হামলায় নিহত সিপিআইএম নেতা সালকু সোরেনের মা, বছর ৭৫-এর ছিতামণি সোরেনও ব্রিগেডের সভায় যাচ্ছেন। দিন কয়েক ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁর চিকিৎসা করেন দুই সিপিআইএম নেতা পুলিনবিহারী বাস্কে এবং ফুয়াদ হালিম।

২০০৯-এর ১১ জুন খুন করা হয়েছিল বিনপুর-১ ব্লকের ধরমপুরের বাসিন্দা তথা সিপিআইএম-এর মধ্যমকুমারী শাখার সম্পাদক সালকু সোরেনকে। ঘর থেকে পিছমোড়া করে বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। সিপিআইএম-এর ধরমপুর লোকাল কমিটির অফিসের সামনে ৫ দিন ধরে পড়ে ছিল দেহ। মাওবাদীদের ভয়ে দেহ তোলার সাহস পাননি কেউই।
এই ঘটনায় সিপিআইএম ছাড়েননি সালকু সোরেনের বৃদ্ধ মা ছিতামণি সোরেন। তিনি এখনও এলাকায় মিছিলের অগ্রভাগেই থাকেই। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অসুস্থ। অসুস্থ হলেও, জেদ ব্রিগেডের সমাবেশে যাবেন। অসুস্থ ছিতামণি সোরেনের কথায় সালকুর জন্যই যেতে হবে। তাঁর জেদের কাছে হার মেনেছেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। সম্প্রতি গ্রামে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, দুই সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হামিম এবং পুলিনবিহারী বাস্কে। দুজনেই জানিয়েছেন আগের থেকে সুস্থ আছেন ছিতামণি। এলাকার শহিদ পরিবারের সদস্যরা ব্রিগেডের সভায় যাবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব।