চিরাগ কর্তা শিবাজী পাঁজা ও কৌস্তভ রায় গ্রেফতার , অভিযোগ ৫১৫ কোটি টাকার জালিয়াতির
জাল নথি দিয়ে একাধিক ব্য়াঙ্ক থেকে অর্থিক প্রতারণার দায়ে ধৃত চিরাগ কর্তা শিবাজী পাঁজা ও কৌস্তভ রায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
জাল নথি দিয়ে একাধিক ব্য়াঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া তথা অর্থিক প্রতারণার দায়ে ধৃত চিরাগ কর্তা শিবাজী পাঁজা ও কৌস্তভ রায়। তাঁদের বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আর সেই অভিযোগেই এদিন তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ রয়েছে। এর আগে, তাঁদের একাধিক বার জেরা করা হয় সিবিআই-এর তরফে। চতুর্থবার জেরার পরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শিবাজী পাঁজা ও কৌস্তভ রায়কে আগামীকাল কোর্টের তোলা হবে বলে খবর। কোথায় গেল ৫১৫ কোটি টাকা, তার সদুত্তর পেতেই এই গ্রেফতারি।
এদিন , এই দুই ব্যবসায়ীকে ৩ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় বলে সূত্রে দাবি। তাঁরা তথ্য গোপন করেছেন বলে জানিয়েছে সিবিআই। মনে করা হচ্ছে, তাঁদের এই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে একাধিক ব্য়ক্তি জড়িত। তাঁদেরও জিজ্ঞসাবাদ করা হবে। জানা য়াচ্ছে, আপাতত সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁদের রাখা হলেও, আগামীকাল দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পাশাপাশি দুজনকে সঙ্গে নিয়েও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাতে পারে সিবিআই। দু'জনের সম্পত্তির বিষয়েও আরও খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের।
অভিযোগ, এই দুই ব্যবসায়ী এক দুটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে নয়, বরং এসবিআই, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক সহ দশটি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়ামের সঙ্গেই এই আর্থিক জালিয়াতি করেছেন। শিবাজী পাঁজা, কৌস্তভ রায়দের সংস্থাটি মূলত ডেস্কটপ, ল্যাপটপ তৈরি করেছে, 'চিরাগ' ব্র্যান্ডের নামে। আর সেজন্যই ঋণ নেওয়া হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি সি বি আই-র কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই সিবিআই তদন্ত করে জানতে পারে একাধিক ভুয়ো তথ্য তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে এই দুজনে মিলে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়েছেন।